বাংলাদেশের দেয়া ২৯৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪৬ রানের মধ্যে তারা হারায় ৪ উইকেট। এর মধ্যে তিন ব্যাটারকেই ফেরান নাসুম আহমেদ। বাকি একটি উইকেট নেন তানভির ইসলাম। এরপর এক ওভারে ২ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের চেপে ধরেন রিশাদ হোসেন। আর তাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত তারা অল আউট হয়ে যায় ১১৭ রানে।
দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করে আকিম আগস্ট। আর ১৫ রান করে করেন জাস্টিন গ্রেভস, অ্যালিক আথানেজ ও কেসি কার্টি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন রিশাদ ও নাসুম। দুটি করে উইকেট পান তানভির ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। স্পিনারদের এমন বোলিংয়েই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও টসে জেতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। শুরুতে সাইফ-সৌম্যের ১৭৬ রানের ওপেনিং জুটির পরও শেষের ব্যর্থতায় তিনশ'র খুব কাছে গিয়েও তা স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
শুরু থেকে আগ্রাসী খেলতে খেলতে দশ ওভার শেষে বাংলাদেশ তোলে বিনা উইকেটে ৭৪ রান। দারুণ খেলতে খেলতে ৪৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি। ১৬ ওভারের মধ্যে দলীয় শতরানও পেয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি পান সাইফ।
রস্টন চেজের বলে লং অনের সীমানা পার করতে গিয়ে জাস্টিন গ্রেভসের মুঠোয় ধরা পড়েন সাইফ। আর তাতেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। ছয়টি চার ও সমান সংখ্যক দৃষ্টিনন্দন ছক্কায় ৭২ বলে ৮০ রান আসে ইনফর্ম এই ওপেনারের ব্যাটে। সাইফের মতো সেঞ্চুরি করতে পারেননি সৌম্যও। দলীয় ১৮১ রানে আকিল হোসেইনের বলে বড় শর্ট হাঁকাতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন সৌম্য।
৮৬ বলে সাতটি চার ও চারটি ছক্কায় ৯১ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাটে। ১০৫.৮১ স্ট্রাইক রেটে খেলে ফিরে যান সৌম্য। এরপর শান্ত-তাওহীদ হৃদয় ৫০ রানের জুটি গড়লেও বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। হৃদয় আউট হন ৪৪ বলে ২৮ রান করে। শেষদিকে সোহানের একটি চার ও একটি ছক্কা এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ১৭ বলে ১৭ রানের ইনিংসে তিনশ'র কাছাকাছি যায় বাংলাদেশ।