ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৬৫ ধাপ এগোলেন রিশাদ

বাংলাদেশ
ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৬৫ ধাপ এগোলেন রিশাদ
রিশাদ হোসেন, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
ব্রেন্ডন কিং ও অ্যালিক আথানাজের পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে সহজেই জয়ের পথে হাঁটছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ইনিংসের ১১তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। সফরকারীদের পরের চার ব্যাটারের উইকেটও নিয়েছেন ডানহাতি লেগ স্পিনারই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেখা মেলে পাঁচ উইকেটের। শেষ ব্যাটারকে ফিরিয়ে ৩৫ রানে রিশাদ নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।

বাংলাদেশের প্রথম স্পিনার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পরের ম্যাচেও তিনটি উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। দুই ম্যাচে ৯ উইকেট নেয়া ডানহাতি লেগ স্পিনারের পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে আইসিসির ওয়ানডে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়েও। বুধবার প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬৫ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। ৪৩০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের স্পিনার আছেন ৬৬ নম্বরে। তাঁর সঙ্গে আছেন জুনায়েদ সিদ্দিকী ও কালিম সানা।

বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও উজ্জ্বল ছিলেন রিশাদ। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুইশ স্ট্রাইক রেটে খেলেছিলেন ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংসে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আরও মারকুটে ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সমান তিনটি করে ছক্কা ও চারে ১৪ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন ২৭৮ স্ট্রাইক রেটে। ব্যাটে-বলে এমন পারফরম্যান্স করে ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়েও এগিয়েছেন তিনি। ৮৭ ধাপ এগিয়ে ৩৭ নম্বরে উঠে এসেছেন রিশাদ।

অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। দুই ম্যাচে এক উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৪৯ রান করে এক ধাপ এগিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের রশিদ খানকে পেছনে ফেলে চার নম্বরে উঠে এসেছেন মিরাজ। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই সবার উপরে। অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আজমতউল্লাহ ওমরজাই, দুইয়ে সিকান্দার রাজা ও তিন নম্বরে আছেন মোহাম্মদ নবি।

দুই ম্যাচে মাত্র একটি উইকেট পেলেও প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের আটকে দিয়ে মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন মিরাজ। প্রথম ওয়ানডেতে ১০ ওভারে ১৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেয়া ডানহাতি স্পিনার দ্বিতীয় ম্যাচে দিয়েছেন ৩৮ রান। এমন বোলিংয়ে আইসিসি বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬ ধাপ এগিয়েছেন মিরাজ। ৫৭৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে আছেন তিনি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তিনিই এখন সবার উপরে। প্রথম ম্যাচে খেললেও ভালো করতে পারেননি তাসকিন আহমেদ।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ছিলেন বিশ্রামে। যার ফলে ৪ ধাপ পিছিয়ে ৩৮ নম্বরে নেমে গেছেন ডানহাতি এই পেসার। মুস্তাফিজুর রহমান আগের মতোই ৫৬ নম্বরে আছেন। পিছিয়ে যাওয়ার তালিকায় আছেন তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলাম। তবে এক ম্যাচ খেলেই ১৬ ধাপ এগিয়েছেন নাসুম আহমেদ। ১০ ওভারে ৩৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে উঠে এসেছেন ৭১ নম্বরে। দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে তানভীর ইসলামের।

ব্যাটারদের মধ্যে উন্নতি হয়েছে মিরাজ, তাওহীদ হৃদয় ও সৌম্য সরকারের। মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে ৫১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন হৃদয়। দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ১২ রান। এমন পারফরম্যান্সে ৭ ধাপ এগিয়ে ৩৫ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে হৃদয়ই সবার উপরে আছেন। দুই ম্যাচে ৪৯ রান করে মিরাজ ২ ধাপ এগিয়ে ৬৩ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন।

প্রথম ম্যাচে ভালো করতে না পারলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেছেন সৌম্য। এমন ইনিংসে ৫ ধাপ এগিয়ে ৮৬ নম্বরে আছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সৌম্যর সঙ্গে আছেন প্রগাত সিং ও সেদিকউল্লাহ অটল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে না থাকায় ৭ ধাপ পিছিয়ে গেছেন লিটন দাস। দুই ম্যাচের একটিতেও একাদশে সুযোগ না পাওয়া জাকের আলী অনিকের অবনতি হয়েছে ৩ ধাপ।

আরো পড়ুন: রিশাদ হোসেন