জোয়েল গার্নার, অ্যান্ডি রবার্টস, ম্যালকম মার্শাল, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশের মতো পেসারদের দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতিময় বোলিংয়ে একটা সময় প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেছেন তারা। অথচ সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজই মিরপুরে অবিশ্বাস্য এক কাণ্ড ঘটিয়েছে। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৫০ ওভারই স্পিনারদের দিয়ে করিয়েছেন শাই হোপ। স্বাভাবিকভাবেই বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় মিরপুরের কালো উইকেট ব্যাটিং করা কতটা কঠিন। প্রথম ম্যাচে ২০৭ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করেছে ২১৩ রান।
দুইটা ম্যাচেই বাংলাদেশের রান দুইশ পেরিয়েছে রিশাদের কল্যাণে। সবাই যখন ক্যারিবীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারছিলেন না তখন প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে ২৬ রান করেছিলেন রিশাদ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিনি ছিলেন আরও আক্রমণাত্বক। সমান তিনটি করে ছক্কা ও চারে খেলেছেন ১৪ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস। সুপার ওভারে জিততে হলে ১১ রান করতে হতো বাংলাদেশকে। এমন সমীকরণের ম্যাচেও ছন্দে থাকা রিশাদের উপর আস্থা রাখেনি কোচ ও অধিনায়ক।
রিশাদকে না পাঠিয়ে সৌম্য, সাইফ ও শান্তকে পাঠায় বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ওয়াইড দিয়েছিলেন আকিল। পরের বলে স্লগ করে দুই রান নেন সৌম্য। ওই বলটি নো বল হওয়ায় বাড়তি এক রান পায় বাংলাদেশ। ফলে ৬ বলে ৭ রান করতে হতো স্বাগতিকরা। সেই সমীকরণ মেলাতে না পেরে ১ রানে হেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। যার ফলে রিশাদকে ব্যাটিংয়ে না পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আকিলও নিজের অবাক হওয়ার কথা জানিয়েছেন ম্যাচ শেষে।
এ প্রসঙ্গে আকিল বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। যে ছেলেটা ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল—১৪ বলে ৩৯ রান, অপরাজিত—সে সুপার ওভারে নামলই না! ছোট দিকের বাউন্ডারিতে যে দুটো ছক্কা মেরেছিল, সেখানেই তো আবার মারতে পারত। আমরা সবাই আসলে অবাক হয়েছিলাম।’
‘সে নামেনি, এটা আমাদের পক্ষেই কাজ করেছে। ও মাত্র কয়েকজনের একজন, যার শক্তি আছে অনেক এবং তার নাগাল অনেক বেশি, কারণ সে লম্বা। সব মিলিয়ে সে ছিল সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটারদের একজন। তারা তাকে পাঠায়নি। সেজন্য কৃতজ্ঞতা।’
প্রথম ওয়ানডতে ৭৪ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সুপার ওভারে জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে সিরিজে এখন ১-১ সমতা। একই মাঠে আগামী ২৩ অক্টোবর তৃতীয় ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাম্প্রতিক সময়ের দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে সেই ম্যাচে নিশ্চিতভাবেই জিততে চাইবেন মিরাজরা।