বাংলাদেশ সেখানে প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ২০৭ রানেই অল আউট হয়ে যায়। জবাবে খেলতে নেমে সাবধানী শুরু করে ক্যারবিয়ানরা। প্রথম দুই ওভার মেইডেন দিলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান বাড়াতে থাকেন তারা। অ্যালিক আথানেজকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট তুলে নেন রিশাদ। এরপর একে একে আউট করেন কেসি কার্টি, ব্র্যান্ডন কিং, শেরফানে রাদারফোর্ড ও রস্টন চেজকে।
আর তাতেই ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান বাংলাদেশের এই স্পিনার। এক স্পেলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। উপরের সারির পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে কিং সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন। এ ছাড়া দুই অঙ্ক পেরুতে পারেন কেবল আথানেজ। তিনি ২৭ রান করে আউট হন।
এরপর মিরাজ-তানভির ও মুস্তাফিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস বড় হতে দেননি। তারা শেষ পর্যন্ত অল আউট হয়ে যায় ১৩৩ রানে। ফলে ৭৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ক্যারিবীয়দের। জেইডেন সিলসকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসও গুড়িয়ে দিয়েছেন রিশাদ। তিনি ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছেম। এই জয়ের ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। প্রথম ম্যাচেই পেতে পারতেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে ৪ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে তাকে। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এর চেয়ে বেশি রান করতে পেরেছেন কেবল তাওহীদ হৃদয়।
তার ৯০ বলে ৫১ রানের ইনিংস বাংলাদেশের সংগ্রহ দুইশ পার করতে বড় ভূমিকা রেখেছে। আর শেষদিকে নেমে রিশাদ হোসেন জেইডেন সিলসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলেছেন। ছক্কা মেরেছেন ৯ নম্বরে নামা তানভির ইসলামও।
এগুলোও যথেষ্ট ছিল না বাংলাদেশের বড় পুঁজি নিশ্চিত করতে। এদিন ধীর গতির ব্যাটিংয়ের মাশুল দিতে হয়েছে বাংলাদেশের। ৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বাংলাদেশের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে ১২০ বলে তারা যোগ করেন ৭১ রান।
বাংলাদেশের আর কোনো জুটি পঞ্চাশের গণ্ডি পেরুতে পারেনি। শান্ত আউট হয়েছেন ৬৩ বলে ৩২ রান করে। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৭ বল খেলেছেন ১৭ রান তুলতে। নুরুল হাসান সোহান অবশ্য বেশি বল খেলেননি। ১০ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে গেছেন। ইনিংসের শেষ ওভারে তানভির রান আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২০৭ রানে।
এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন সিলস। তিনি একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। এর বাইরে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন রস্টন চেজ ও জাস্টিন গ্রেভস। আর একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন খারি পিয়েরে ও রোমারিও শেফার্ড।