বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিতে চান না স্যামি

বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিতে চান না স্যামি
ড্যারেন স্যামি, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান— সবশেষ চার ওয়ানডে সিরিজের সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। কদিন আগে আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে আবুধাবি থেকে দেশে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে রীতিমতো দিশা খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ছন্দে না থাকলেও দেশের মাটিতে খেলা হওয়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে সতর্ক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ড্যারেন স্যামি জানালেন, তাদের কেউই স্বাগতিকদের হালকাভাবে নিচ্ছেন না।

২০১১ সালে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বাংলাদেশে খেলতে এসেছিলেন স্যামি। অবসর নেয়ার আগে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মিলে ক্যারিবীয়দের জার্সিতে বাংলাদেশের মাটিতে ২০ ম্যাচ খেলেছেন সাবেক এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। জাতীয় দলের বাইরেও বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ২০১৫ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন বিপিএলে। পরের দুই মৌসুমে খেলেছেন রাজশাহী কিংসের হয়ে।

২০১৭ সালের পর বিপিএলে খেলা হয়নি স্যামির। জাতীয় দলের পাশাপাশি বিপিএলে খেলার সুবাদে বাংলাদেশকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। লম্বা সময় ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশে এলেও এবার স্যামি এসেছেন কোচ হিসেবে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ জানালেন, ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশে তাঁর দারুণ কিছু স্মৃতি আছে।

স্যামি বলেন, ‘বাংলাদেশে আসা সবসময়ই আনন্দের। এটা এমন একটা জায়গা ব্যক্তিগতভাবে আমার দারুণ কিছু স্মৃতি আছে। তবে হ্যাঁ, এবার ভিন্ন ভূমিকায় এসেছি। আশা করি এখানে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। ড্রেসিং রুমে অনেক ছেলেরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কিংবা বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের এখানে ভালো খেলতে হবে।’

৮০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তাদের ঠিক নিচেই বাংলাদেশ। ২০২৭ সালে সাউথ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় হতে যাওয়া বিশ্বকাপ সরাসরি খেলতে সিরিজটা দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারলে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পাওয়ার খুব কাছে চলে যাবে ক্যারিবীয়রা। মেহেদী হাসান মিরাজরা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেও স্যামি জানালেন, বাংলাদেশে তাদের অভিযানই হচ্ছে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পাওয়া।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ বলেন, ‘আমরা ২০২৭ সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের একটা অভিযানে আছি। দল এখন সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছে, পয়েন্টগুলো অর্জন করতে পারলে সেটা আমাদের সরাসরি খেলার যোগ্যতা এনে দেবে। ঘরের মাঠে আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে সফল একটা সিরিজ খেলেছি। আমরা জানি তারা এমন একটা দল যারা ঘরের মাঠে সবসময় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। আমি নিশ্চিত অধিনায়কও আমার সঙ্গে একমত হবে, জিততে হলে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’

সাম্প্রতিক সময়ে দল হিসেবে একেবারেই ছন্দে নেই বাংলাদেশ। নিজেদের সবশেষ চার ওয়ানডে সিরিজের সবকটিতেই হেরেছে তারা। এমন কী সবশেষ ১২ মাসে খেলা ১৪ ওয়ানডের মাত্র দুইটি ম্যাচে জয় পেয়েছেন মিরাজরা। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এমন অধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পরও বাংলাদেশকে হালকাভাবে নেয়ার পক্ষে নন স্যামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ মনে করেন, বাংলাদেশকে হারাতে তাদের সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে।

স্যামি বলেন, ‘দেখুন— তারা এখন ঘরের মাঠে খেলছে। কন্ডিশনটা তাদের নিজেদের। কন্ডিশন সম্পর্কেও আমাদের চেয়ে ভালো জানে। আমি এবং আমার অধিনায়ক যেমনটা বলেছি বাংলাদেশকে আমরা হালকাভাবে নিতে পারি না। ঘরের মাঠে তারা খুবই শক্তিশালী। তাদেরকে হারাতে আমাদের দুর্দান্ত খেলতে হবে।’

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ