এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠলেও মাঠের ক্রিকেটের পারফরম্যান্সে প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। সেটা অবশ্য খানিকটা বদলে যায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে নেয় সফরকারীরা। টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করলেও ওয়ানডেতে দেখতে হয়েছে উল্টো চিত্র।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে তিনটি ম্যাচেই আফগানদের সঙ্গে নূন্যতম লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তো বাংলাদেশ একশ রানও ছুঁতে পারেনি। আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে দর্শকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন নাইম, তাওহীদ হৃদয় ও তাসকিন আহমেদের মতো ক্রিকেটাররা। যেখানে তাদেরকে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে দুয়ো দেয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত আক্রমণও করা হয়েছে।
এমনকি কয়েকজন দর্শক নাইমের গাড়ির দিকে তেড়েও গেছেন। বিমানবন্দরে এমন চিত্র দেখে স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট পেয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। পরবর্তীতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নাইম। নিজেদের নিবেদনের বিষয়গুলো তুলে আনার পাশপাপাশি হেনস্তা না করে দর্শকদের কাছে গঠনমূলক সমালোচনা চেয়েছেন তিনি। সেই পোস্টের পর আরও বেশি তোপের মুখে পড়েন নাইম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সিমন্স। বিষয়টি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করতেই বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘আমি খুশি যে আপনি প্রসঙ্গটি তুলেছেন। প্রথমত বলতে চাই, সামাজিক মাধ্যমে কী হচ্ছে, এসব নিয়ে ক্রিকেটারদের কিছু করার আছে বলে আমি একদমই মনে করি না। ব্যক্তি হিসেবে সবারই অধিকার আছে সামাজিক মাধ্যমে যা ইচ্ছা বলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও জাতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আমার ক্রিকেটারদের অবশ্যই উচিত নয় এসবের জবাব দেয়া।’
বিশ্বজুড়েই প্রকোপ বেড়েছে বর্ণবাদের। সবশেষ কয়েক বছরে ইউরোপিয়ান ফুটবলে হরহামেশাই ফুটবলারদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করা হচ্ছে। বিষয়টি লম্বা সময় ধরে কথা বলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার মাইকেল হোল্ডিও। আইসিসিও সেটার ক্ষেত্রে কঠোর হয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে যা ইচ্ছে বলার সুযোগ থাকলেও কারও সঙ্গে বর্ণবাদ আচরণ করা যাবে না বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন। জাকের আলী অনিকের উদাহরণ টেনে বিষয়টি সামনে এনেছেন সিমন্স।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘তবে একটি কথা বলতে চাই, ক্রিকেটারদের প্রতি কোনো ধরনের বর্ণবিদ্বেষী সুর কোনোভাবেই থাকা ভালো কিছু নয়। আপনি যেখান থেকেই আসেন না কেন, আই ডোন্ট কেয়ার। কিন্তু জাকের আলীর প্রতি যা হয়েছে, সেসবে আমি ক্ষুব্ধ। ভালো কিছু নয় এসব। তবে আপনাকে বলতে পারি, আমি চাই না আমার ক্রিকেটাররা সামাজিক মাধ্যমে কোনো ধরনের জবাব দেবে।’