প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ করে ২২১ রান, যেখানে তাওহীদ হৃদয় ও মিরাজের জুটিতে আসে ১০১ রান। ম্যাচটি আফগানিস্তান জেতে ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস নামে আরও বড় আকারে! ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি। আফগানিস্তান জয় তুলে নেয় ৮ উইকেট ও ৮১ বল হাতে রেখে।
তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তান তোলে ২৯৩ রান। জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে মাত্র ৯৩ রানে। এই ম্যাচেই দেখা যায় সবচেয়ে বাজে চিত্র! দলের ১০ ব্যাটারের মধ্যে কেবল সাইফ হাসান পৌঁছেছিলেন দুই অঙ্কে, তার সংগ্রহ ৪৩। তিনি ছাড়া সাত নম্বর পর্যন্ত বাকি ছয় ব্যাটারের রান যথাক্রমে ৭, ৩, ৭, ৬, ০ এবং ২।
পুরো সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটাররা একটিও ম্যাচে ৫০ ওভার টিকতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে অলআউট ৪৮.৫ ওভারে, দ্বিতীয় ম্যাচে ২৮.৩ ওভারে, আর শেষ ম্যাচে থামে ২৭.১ ওভারে। ধারাবাহিক ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতো।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, 'ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে যে জায়গাটা আমাদের ইম্প্রুভ করার দরকার, সেই জায়গাটা ইম্প্রুভ করছি না। আমরা এতটা খারাপ দলও না, যতটা আমরা বেশিটা খারাপ খেলছি। খারাপ আমরা সবাই একসাথেই খেলছি। অবশ্যই ল্যাকিংস আছে। আর ল্যাকিংস না থাকলে তো এরকম ব্যাক টু ব্যাক এরকম হবে না। বাট একটা জিনিস এন্ড অফ দ্য ডে, আমাদের যারা ব্যাটসম্যান আছে বা আমাদের যারা আছে, এদেরকে নিয়েই আমাদেরকে হয়তো আগাতে হবে এবং হয়তো অনেক বেশি যে প্লেয়ার বাইরে আছে এরকমও না।'
'হ্যাঁ আমরা এর আগে তো এত খারাপ খেলিনি। বাট আমরা এতটা খারাপ দলও না, যতটা আমরা বেশিটা খারাপ খেলছি। বাট আমার কাছে মনে হয় যে এই জিনিসগুলো যদি আমরা ইম্প্রুভ না করতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য অনেক আরও আরও টাফ হবে। যদি আমরা ইম্প্রুভ না করতে পারি এবং এই ম্যাচগুলো থেকে যে মিস্টেকগুলো করেছি, সেইগুলো যদি আমরা বারবার রিপিট করি, তাহলে আমাদের জন্য আরও ডিফিকাল্ট হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে পুরো ৫০ ওভার খেলার লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশ দলের, জানিয়েছেন মিরাজ।
তিনি আরো বলেন, 'অবশ্যই যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতাম, আসলে তাহলে খুবই ভালো লাগত। যেহেতু আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি, এখানে তো আমাদের অবশ্যই দায় নিতে হবে প্রত্যেকটা প্লেয়ারেরই এবং অ্যাজ এ ক্যাপ্টেন হিসেবে আমারও দায় নিতে হবে যেহেতু আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি। এবং বাট আমি স্টিল আশা করছি যে আমাদের টিমটা কামব্যাক করবে এবং আশা করি নেক্সট সিরিজ থেকেই সেটা হতে পারে ইনশাআল্লাহ।'
'এটা আমি বিলিভ করি এবং দলকে আমি ঐভাবেই বুস্ট আপ করব। এবং আশা করব ভবিষ্যতে দর্শকদেরকে ভালো ভালো ম্যাচ উপহার দেওয়ার জন্য। ৫০ ওভার ম্যাচে অবশ্যই আমাদের টার্গেট থাকবে ৫০ ওভার ক্রিকেট খেলার জন্য। আমরা যে লাস্ট ওডিআই ম্যাচগুলো খেলেছি, আমরা ৫০ ওভার খেলতে পারিনি। সো আমরা ঐভাবেই প্ল্যান করছি যে কীভাবে ৫০ ওভার খেলা যায়।'