বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও যেন তাইই হয়েছে। দলীয় ৫০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। টাইগারদের শেষ ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টিই গেছে রশিদের ঝুলিতে। এর মধ্যে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকেরও। হ্যাটট্রিক না হলে আফগানিস্তানের জয়ের নায়ক হয়েছেন রশিদই। বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ মনে করেন বাংলাদেশ রশিদকে খেলেছে বল নয়।
বাংলাদেশের স্পিন কোচ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'এটা আমার পর্যবেক্ষণ, তারা রশিদকে খেলছে, বলকে নয়। সে খুব বেশি বল স্পিন করায় না, কিন্তু তার অনেক ভ্যালু আছে। সে খুব অভিজ্ঞ, সে একজন উইকেট শিকারী, সে চ্যালেঞ্জ করে কারণ তার লাইন-লেন্থ খুব ধারাবাহিক। তাই আমার মনে হয় আমাদের কখনও কখনও বল খেলতে হবে, বোলারকে নয়। আমার মনে হয় এটাই সেই জায়গা যেখানে আমাদের দ্রুত উন্নতি করতে হবে।'
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেম্পারমেন্ট ধরে রেখে খেলার বিকল্প দেখছেন না মুশতাক। তার বিশ্বাস যেকোনো ব্যাটার টেম্পারমেন্ট ধরে খেলতে পারলে বিশ্বের যেকোনো বোলারকেই খেলা সম্ভব। রশিদ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রসিদ্ধ বোলার হলেও তাকে খেলার উপায় বের করতে হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানি এই স্পিন কিংবদন্তি।
তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই হলো দারুণ টেম্পারমেন্ট, এবং যদি আপনার দারুণ টেম্পারমেন্ট থাকে, আপনি যেকোনো বোলারের বিপক্ষে খেলতে পারবেন। তাই রশিদের জন্য অভিনন্দন। সে আফগানিস্তানের হয়ে বহু বছর ধরে খুব সফল। কিন্তু একই সময়ে, একটি বাংলাদেশি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের জানা উচিত কিভাবে বল খেলতে হয়, বোলারকে নয়।'
রশিদের মতো বোলারের ওপর চড়াও হওয়া নিশ্চিতভাবেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। তবে তার বল দেখে শুনে খেলে সিঙ্গেলস বের করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করেন মুশতাক। বিশেষ করে লো স্কোরিং ম্যাচে এসবই পার্থক্য গড়ে দেয় বলে মনে করেন বাংলাদেশের এই স্পিন বোলিং কোচ।
মুশতাক বলেন, 'রশিদ এবং ওইসব বোলারদের বিপক্ষে যারা উইকেট টু উইকেট বল করে এবং ভালো গতি আছে, তাদের বিপক্ষে এটা খুব কঠিন। তাই আপনাকে শিখতে হবে কিভাবে সিঙ্গেল নিতে হয়, বিশেষ করে কম রানের টার্গেটে। যখন পিচ কিছুটা ধীর থাকে, তখন আপনাকে গ্যাপে খেলতে হবে এবং আপনাকে মূলত সিঙ্গেল নেওয়ার বিকল্প অনুশীলন করতে হবে।'