কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আবারও বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এ ছাড়া সহ-সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক আহমেদ ও শাখাওয়াত হোসেন। বিসিবি নির্বাচনে ঢাকা বিভাগ থেকে লড়াই করেছিলেন বুলবুল। নির্বাচনের একদিন আগে আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান সরে দাঁড়ানোয় বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত ছিল।
ঢাকা বিভাগে ১৭ জন ভোটার থাকলেও ৬ অক্টোবরের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ১৫ জন। যেখানে সবগুলো ভোটই পেয়েছেন বুলবুল। পরিচালক হয়ে পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্বও নিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। এদিকে বুলবুলের আগে বিসিবির সভাপতি ছিলেন ফারুক। তবে পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হওয়ায় তাকে সরিয়ে দেয় এনএসসি। তবে ক্যাটাগরি-২ এ রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমির কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করেন তিনি।
৭৬ ভোটের মধ্যে ৪২ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়েছেন। সবগুলো ভোটই পেয়েছেন ফারুক। পরিচালক হওয়ার পর বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বিসিবির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ফারুকের সঙ্গে সহ-সভাপতি হয়েছেন শাখাওয়াতও। বরিশাল বিভাগ থেকে নির্বাচন করেছেন তিনি। যদিও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হয়েছেন।
এবার পেলেন ফারুকের সঙ্গে সহ-সভাপতির দায়িত্বও পেলেন শাখাওয়াত। পর্যটন খাত বিশেষজ্ঞ হিসেবে বেশ পরিচিত তিনি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুরস্কারও পেয়েছেন শাখাওয়াত। এ ছাড়া বুলবুল বিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের ক্রিকেট পর্যটন উপদেষ্টাও হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
কদিন আগে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তামিম ইকবালসহ ২১ জন পরিচালক প্রার্থী। বাকিদের নিয়ে ৬ অক্টোবর সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত রাজধানীর একটি হোটেলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে।
বিসিবি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের পরিচালকরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যার ফলে মোট ১৯১ জন ভোটার থাকলেও তাদের বিভাগের ভোটারদের বাদ দিয়ে ১৫৬ জনের ভোট দেয়ার কথা ছিল। তবে অনেকে নির্বাচন বর্জন করায় শেষ পর্যন্ত ১১৫ জন ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ ৭৩.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে।