ক্লোজ ম্যাচ ক্ষতিকর, হার্ট সবসময় সহ্য করতে পারে না: সিমন্স

বাংলাদেশ
ক্লোজ ম্যাচ ক্ষতিকর, হার্ট সবসময় সহ্য করতে পারে না: সিমন্স
গণমাধ্যমে কথা বলছেন ফিল সিমন্স, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
টানা দুই ম্যাচ রীতিমতো হারতে হারতে জিতেছে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারাতে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলকে। যার কারণে ম্যাচ দুটি যেতে পারত যেকোনো দিকেই। যদিও দুই ম্যাচের টেলএন্ডারদের নিয়ে নুরুল হাসান সোহানের পারফরম্যান্স জিতিয়েছে টাইগারদের। চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশ দলের এমন পারফরম্যান্সে খুশি ফিল সিমন্স। যদিও বাংলাদেশের প্রধান কোচ হাসিমুখে মনে করিয়ে দিলেন এরকম জয় মানুষকে হৃদরোগ পাইয়ে দিতে পারে।

আগের ম্যাচে শতরানের ওপেনিং জুটি পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ১১৮ রানে পৌঁছাতে আরো পাঁচটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জমে উঠে ম্যাচ।

শেষ পর্যন্ত সোহানের ১৩ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংসে জিতে যায় বাংলাদেশ। সঙ্গে রিশাদ হোসেন ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও চিত্র প্রায় একই। ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৪ রান তুলতে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তারপর জাকের আলী অনিক এবং শামীম হোসেন মিলে ৫৬ রানের জুটি গড়লে খানিকটা এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও ২৫ বলে ৩২ রান করে জাকের এবং ২২ বলে ৩৩ রান করে শামীম ফিরলে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে সোহানের ব্যাটে কাঙ্খিত সাফল্য পায় বাংলাদেশ। আগের দিন কেবল রশিদের বিপক্ষে টানা উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু এই ম্যাচে স্পিনারদের কিছুটা ভালো খেলে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে এর প্রশংসায় সিমন্স বলেন, 'আমরা তাদের স্পিনারদের ভালো খেলেছি। ওটাই তাদের শক্তির জায়গা এবং আমরা ভালো করেছি। আমরা তাদের স্পিনারদের ভালো খেলেছি, অন্তত আজকে। গতকাল আমরা সেটা খুব ভালোভাবে করতে পারিনি, কিন্তু আজ আমরা তাদের স্পিনারদের অনেক ভালোভাবে খেলেছি। তাই, আমরা আজ যা করতে এসেছিলাম, তা করেছি।'

'আমাদের দলে বেশ কয়েকজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আছে এবং যেকোনো দিন আমরা বিভিন্ন খেলোয়াড়কে সুযোগ দিই। তাই আজ যারা ছিল তাদের নিয়েই আমরা খেলেছি এবং তারা তাদের কাজটা করেছে। যেহেতু সবাই উন্নতি করছে, আমরা শুধু এটাই চাই। জাকির এবং শামীম খেলাটা শুরু করেছিল এবং সোহান আমাদের জন্য শেষ করেছে। আমরা আমাদের ব্যাটসম্যানদের এটাই করতে বলছি, যখনই তারা সুযোগ পাবে, নিশ্চিত করতে হবে যেন তারা দায়িত্ব নেয়।'

শেষদিকে নাসুম আহমেদ এবং একই ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রিশাদ হোসেনের উইকেট হারিয়ে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২১ বলে অপরাজিত ৩১ রান করে বাংলাদেশকে জেতান সোহান। সঙ্গে ছয় বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন শরিফুল। শেষমুহূর্তে উত্তেজনায় চাপে পড়ে গিয়েছিলেন সিমন্স নিজেও।

খানিকটা রসিকতা করেই তিনি বলেন, 'এটা আমার জন্যও ক্ষতিকর (হেসে)। দেখুন, ক্রিকেট এমনই। এর ভালো দিকটা হলো, যখন আপনি এই ধরনের ক্লোজ ম্যাচ জেতেন এবং তা চালিয়ে যেতে থাকেন, তখন আপনি আত্মবিশ্বাস পান যখন আবার একটি ক্লোজ ম্যাচে নামেন। তাই এটা ভালো যে আমরা এটা করছি, কিন্তু এটা আমাদের কারোর জন্যই ভালো নয়। আমাদের হার্ট সব সময় এটা সহ্য করতে পারে না।'

আরো পড়ুন: ফিল সিমন্স