দেশের ক্রিকেটের জন্য এই কোর্সকে নতুন মেরুকরণ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। শুরুতে সাবেক ক্রিকেটারদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্য বিসিবির। এরপর তাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল, বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় দলে কাজে লাগানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, 'স্পেশালাইজেশন যেমন ধরেন আমাদের এখানে ইমার্জিং টিম আছে, আন্ডার নাইনটিন টিম আছে, এজ গ্রুপ টিমগুলো আছে, ন্যাশনাল টিম আছে, সেখানে আমাদের কিন্তু স্পেশালিস্ট ব্যাটিং কোচ, বোলিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ ওগুলো তৈরি করতে হবে। তো এইটা আমাদের প্রথম স্টেপ যেখানে আমরা মনে করেছি যে আমাদের দেশীয় স্পেশালিস্ট কোচ তৈরি করা শুরু করতে হবে। স্টেপ নাম্বার ওয়ান এটা আমরা ব্যাটিং কোচ দিয়ে শুরু করছি এবং যে দুজন লোক নিয়ে এসেছি আমার চোখে তারা বিশ্বসেরা, তাদেরকে।'
এই কোচিং কোর্সে অংশ নিয়েছেন ১২জন টেস্ট খেলা ক্রিকেটার। এর মধ্যে অনেকেই অবসর নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটারদের সংখ্যাই বেশি। বর্তমানে খেলে যাওয়া ক্রিকেটাররা এই কোচিংয়ে কোর্সে অংশ নেয়ায় তাদেরও খেলার ব্যাপারে বাড়তি ধারণা যোগ হবে বলে বিশ্বাস বুলবুলের।
তিনি যোগ করেন, 'এখানে ১২ জন টেস্ট ক্রিকেটার আছেন যারা খেলছেন, অনেকে অবসর নিয়েছেন এবং প্রায় সবাই আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটার। তো মাহমুদুল্লাহসহ যারা এখানে এসেছেন, দেখুন একজন খেলোয়াড় যখন জানতে পারেন তাকে কীভাবে সমস্যা সমাধান করতে হবে, যেমনটি অ্যাশ বলছিলেন, তখন তিনি খেলছেন এবং খেলতে খেলতে যদি নিজের সমস্যাগুলো নিজেই সমাধান করতে পারেন, তাহলে হয়তো তিনি আরও ভালো খেলোয়াড় হতে পারবেন।'
সাবেক ক্রিকেটারদের কোচিং পেশায় যুক্ত করার প্রথম ধাপ হিসেবেই ধরছেন বুলবুল। তিনি বলেন, 'দেখুন রিয়াদ, শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, রাজিন সালেহ—এরা সবাই প্রতিষ্ঠিত এবং সফল টেস্ট ক্রিকেটার। আমি একটি ছোট্ট হিসাব দিই, যদি তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলেও কোচিং অভিজ্ঞতা শূন্য থাকে, তাহলে তো তারা কোচ হতে পারবেন না। কিন্তু যখন তারা অনেক উচ্চমানের কোচিং কোর্স গ্রহণ করবেন এবং তাদের খেলার অভিজ্ঞতার সঙ্গে সেটি একত্রিত করবেন, তখন সেই সমন্বয় পৃথিবীতে খুবই বিরল হবে।'