ফিক্সিং কাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে বিসিবির আরেকটি কমিটি

বাংলাদেশ
ফিক্সিং কাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে বিসিবির আরেকটি কমিটি
ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আসার পরই স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই কমিটির কাছ থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাতদিনের জন্য গঠিত সেই রিভিউ কমিটি ইতোমধ্যে বিসিবির কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। অভিযুক্ত ক্রিকেটার কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের ১৮ জনের নামের পাশে লাল দাগও দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি খেলতে না দেয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে। যদিও তাদের প্রতিবেদন দেখেই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না বিসিবি। বরং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পরিমাণ প্রমাণ আছে কিংবা কাদের কতটুকু শাস্তি হওয়া উচিত সেই ব্যাপারগুলো নিশ্চিত করতে আরেকটি কমিটি গঠন করেছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। আমিনুল ইসলাম বুলবুল নিশ্চিত করেছেন দ্রুতই জানা যাবে সিদ্ধান্ত।

এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা একটি তদন্ত রিপোর্ট পেয়েছি। আমাদের যে তদন্তকারি দল ছিল, একজন বিচারপতি ছিলেন, একজন ব্যারিস্টার ও একজন সাবেক ক্রিকেটার, তারা রিপোর্টের সারাংশ জমা দিয়েছেন আমাদের কাছে এবং সারাংশে বেশ কিছু জিনিস আছে, যেগুলো আমাদেরকে অনেক চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। এটা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমরা একটা কমিটি করেছি, কারণ আমরা কেউ বিশেষজ্ঞ নই। খুব শিগগিরই আপনারা জানতে পারবেন।’

বিপিএলের গত আসরের সময় থেকেই বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের নামে অভিযোগ এসেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক’জন ক্রিকেটারের নামও এসেছে। কদিন আগে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিতে পারবেন কিনা। সিলেটে হওয়া সেই সংবাদ সম্মেলনে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান।

গুঞ্জন আছে, অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের ‘সাইলেন্ট ব্যান’ দিতে পারে বিসিবি। যদিও এনসিএল টি-টোয়েন্টির অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন অভিযুক্ত ক্রিকেটার। সাইলেন্ট ব্যানের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বুলবুল জানালেন, সন্দেহের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা কোনো ভুল করতে চান না। বরং নতুন কমিটির রিপোর্ট হাতে পেয়েই অ্যাকশন নিতে চান তারা।

বুলবুল বলেন, ‘এখানে সন্দেহ বলে কিছু নেই। একেবারে জমাট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না। এটার আমি বিশেষজ্ঞও নই। এজন্যই আমরা কমিটি করে দিয়েছি। তারা খুব শিগগিরই একটি রিপোর্ট দেবে, যে রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আমরা অ্যাকশনে যেতে পারব।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রমাণ বলতে বোঝাচ্ছি… আমাদের কাছে প্রমাণ কিছু আছে, রিপোর্ট আছে, অনুসন্ধানের ফল আছে কিছু। কিন্তু অ্যাকশন নেওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়ার দরকার, সেই প্রক্রিয়ায় আমরা আসতে যাচ্ছি। এখানে একটাই আইনি প্রক্রিয়া সম্পৃক্ত যে, কোনো ভুল করা যাবে না।’

আরো পড়ুন: আমিনুল ইসলাম বুলবুল