এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ খেলবে 'বি' গ্রুপে। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হংকং, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান। তিনটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটিতে জিততে পারলেই এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। আর এখানেই বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে রাখছেন আকাশ।
তিনি বলেন, 'আমার তো মনে হচ্ছে ওরা ফেঁসে যাবে। আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা হয়তো ওই গ্রুপ থেকে কোয়ালিফাই করে যাবে। আফগানিস্তান একটা ভালো দল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটা রকেট টিম আসলে। আর শ্রীলঙ্কার দলও যখন মাল্টি-নেশন টুর্নামেন্টে আসে, তখন ওরা পিছু হটে না, ভয় পায় না।'
'গতবারও… যদি এশিয়া কাপের ফাইনালে ওরা খেলেছিল ৫০-ওভারেরটা, আর টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ যখন হয়েছিল, তখন ওরা জিতেছিল। ওরা সত্যিই একটা ভালো দল আর ওদের টিমটা ঠিকঠাক আছে। ওরা একটা উপায় বের করে নেয়। তাই আমি বলছি শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তান ওদের গ্রুপ থেকে এগোবে। তাই হতে পারে যে লিগ পর্বেই বাংলাদেশের গল্প শেষ হয়ে যাবে।'
বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন আকাশ। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদের ভক্ত তিনি। মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং বৈচিত্র্যের প্রশংসা সবসময়ই করে আসছেন আকাশ।
তিনি বলেন, 'সত্যি বলতে, তাসকিন আর তানজিম, ওরা নতুন বলে অসাধারণ বোলিং করতে পারে। আর তারপর আছে মুস্তাফিজুর রহমান, যে দুটো কাজই করতে পারে—নতুন বল, পুরোনো বল। সে আসলে… অর্থাৎ আপনার কাছে একটা বেশ ভালো এবং, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, একটা খুব অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলিং অ্যাটাক আছে।'
'যার মধ্যে আমি তাসকিনকে খুব বেশি নম্বর দিই। ও এখনও ১৪০-এর আশেপাশে গতিতে বল করে। ফিজ'-এর কাছে ভ্যারিয়েশন আছে আর তানজিমও আপনাকে দারুণ বোলিং করে দেয়। তাই ফাস্ট বোলিং, আমার মনে হয়, ওদের সবচেয়ে বড় শক্তি। হ্যাঁ, বিশ্বাস করুন বা না করুন। পরিস্থিতি বদলে গেছে, বাংলাদেশ এখন একটা অন্য দল। এই দলের বোলিংয়ে দম আছে।'
বাংলাদেশ দলের বেশ কিছু দুর্বলতাও খুঁজে পেয়েছেন আকাশ। তার মতে, স্পিন বোলিং আক্রমণে বাংলাদেশ একটু অনভিজ্ঞ। এ ছাড়া লিটন দাসের ওপর অতিরিক্ত প্রত্যাশার কারণেও ভরাডুবি হতে পারে বাংলাদেশের।
আকাশ বলেন, 'বাংলাদেশের দুর্বলতার কথা যদি বলি, তাহলে দুর্বলতার মধ্যে… লিটন দাসের ওপর বাংলাদেশ খুব বেশি নির্ভরশীল। লিটন দাস একজন ভালো খেলোয়াড়, কোয়ালিটি প্লেয়ার। আমার মনে হয় ও আবারও একজন আন্ডার-অ্যাচিভার। এই ছেলেটার মধ্যে যতটা বিশেষত্ব আছে, যতটা যোগ্যতা আছে, ততটা ভালো ও করতে পারেনি।'
'যদি করত, তাহলে ওর আরও অনেক নাম হতো। কিন্তু এই মুহূর্তে ও এই দলের অধিনায়ক, তাই ওর দিকে ওর দল অবশ্যই তাকিয়ে থাকবে। কিন্তু ওর দিকে বড্ড বেশি তাকিয়ে থাকে ওরা, আর বড় মুহূর্তে ওদের চাপে ভেঙে পড়ার একটা প্রবণতা আছে। যেই বড় মুহূর্ত আসে, ওরা চোক করে ফেলে। ওদের স্পিন বোলিংও অনভিজ্ঞ।'