দুই ‘মেহেদীকে’ নিয়ে মধুর সমস্যায় বাংলাদেশ

ছবি: শেখ মেহেদী ও মেহেদী হাসান মিরাজ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে মিরাজের কাছ থেকে দলের বাড়তি কিছু রানের প্রত্যাশা থাকে। অন্যদিকে বোলিং অলরাউন্ডার ধরা হয় মেহেদীকে। বল হাতে নিয়মিত পারফর্ম করেন এই স্পিনার। এই দুজনের মধ্যে বাংলাদেশের একাদশে এখন কে থাকবেন তা নিয়ে প্রতি ম্যাচেই থাকে জল্পনা-কল্পনা।
নতুন টেস্ট অধিনায়ককে অন্তত ২ বছরের জন্য চান বাশার
১৭ জুলাই ২৫
শ্রীলঙ্কায় সেই লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন মিরাজ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৩ বলে ২৯ রান করেছিলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে মিরাজ আউট হন ২ বলে ১ রান করে। বল হাতে দুই ম্যাচেই একটি করে উইকেট নেন তিনি। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে মিরাজের বদলে খেলতে নেমে মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান মেহেদী।

দুই জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাই জমে উঠেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগে দুই মেহেদীকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল অধিনায়ক লিটন দাসকে। তিনি জানিয়েছেন দলের কম্বিনেশন বুঝেই তাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। আর মেহেদীর প্রমাণের কিছু নেই সেটাও স্পষ্ট করেছেন লিটন।
কলম্বোতে খেলবেন মেহেদী, আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন লিটন
১৭ জুলাই ২৫
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, 'শেখ মেহেদীর বিষয়টা যেটা, সেটা আমরা জানি যে ও কতখানি সামর্থ্য আছে। আর এটা ও অনেক আগেই নিজেকে প্রমাণ করেছে। এখানে কোনো কিছু প্রুভ করার নাই। কিন্তু আমি আগেও বলেছি যে আমরা টিম কম্বিনেশনে ব্যাটসম্যান, টিম যেটা আগে মনে করবে যে প্লেয়ারটাকে আমাদের দরকার, আমরা তাকেই খেলাব।'
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে শ্রীলঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডটাই রেখে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের নির্বাচকরা। শ্রীলঙ্কা সিরিজে নাসুম আহমেদ ছাড়া প্রায় সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়েছে। পাকিস্তান সিরিজ শুরুর আগে লিটন জানিয়েছেন বেঞ্চের শক্তিতেও আস্থা আছে তাদের। টিম ম্যানেজমেন্টই সিদ্ধান্ত নেবে নির্দিষ্ট ম্যাচে কাদের খেলানো হবে।
তিনি বলেছেন, 'নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট কন্ডিশনের ওপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব (একই একাদশ নাকি বেঞ্চ দেখব)। আমাদের দলের যে, বেঞ্চের শক্তি আছে, সবাই খেলার মতো সামর্থ্যবান। আমরা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ঠিক করব, কোন সময় কাকে খেলানো যায়। আমরা সেভাবেই চেষ্টা করব।'