হোয়াইটওয়াশই লক্ষ্য সোহান-অঙ্কনদের

ছবি: বিসিবি

সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে নতুন বলে শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদের আগুনে পুড়েছিল নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডার। পরবর্তী স্পিনার তানভীর ইসলামের বিপক্ষেও অসহায় ছিলেন সফরকারী ব্যাটাররা। দেড়শর আগেই গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নিয়েছিল অনায়াসে, ৭ উইকেটে। পরের ম্যাচেও বাংলাদেশ সহজ জয়ই পেয়েছে। পারভেজ হোসেন ইমন দ্রুত ফিরে গেলেও নাইম শেখ ও বিজয় বাংলাদেশকে ভালো শুরুই এনে দিয়েছিলেন।
সোহান-অঙ্কনের সেঞ্চুরিতে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
৭ মে ২৫
তারা দুজন ফেরার পর সোহান ১১২ এবং অঙ্কন ১০৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তাদের দুজনের ব্যাটেই ৩৪৪ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। ডেল ফিলিপস ৭৯ রান করার পরেও নিউজিল্যান্ডকে ২৫৭ রানে থামিয়ে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। শনিবার (১০ মে) তৃতীয় ও শেষ একদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা। সেই ম্যাচে জিততে পারলেই কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ।
হোয়াইটওয়াশ করাই বাংলাদেশের লক্ষ্য কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অঙ্কন বলেন, ‘অবশ্যই। প্রথম ম্যাচ থেকেই আমরা ফলাফল কেন্দ্রিক সেভাবে চিন্তা না করে কিভাবে নিজেরা ভালো পারফর্ম করতে পারি দল হিসেবে। একটা দল হিসেবে প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টে আরও কিভাবে নিজেদের উন্নতি করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত ভালো করছি আমরা। আশা করি দিনশেষে কী রেজাল্ট হয় ওইটা দেখতে পারব।’

বাংলাদেশের কাজ সহজ করে দিয়েছেন খালেদ-শরিফুলরা
৫ মে ২৫
দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে শুরুতেই ফিরে যান পারভেজ ইমন। শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ বলে ৭৩ রান যোগ করেন এনামুল ও নাইম। ভালো শুরু পেলেও দুজনের কেউই হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। এরপর চতুর্থ উইকেটে সোহান ও অঙ্কন মিলে ২২৫ রানের জুটি গড়েন। যেখানে তারা দুজনই সেঞ্চুরি করেছেন। অঙ্কন জানান, এমন জুটি গড়তে পারলে মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘অবশ্যই, মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। কারণ উইকেট পড়ে যাওয়ার পড়ে আমাদের একটা পার্টনারশিপ প্রয়োজন ছিল দলের। আমরা চেষ্টা করছিলাম যতদূর পর্যন্ত ক্যারি করতে পারি। সোহান ভাই অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। অবশ্যই উপভোগ করেছি, আশা করি এমন আরও অনেক বেশি বেশি করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’
লিটন দাসের অসুস্থতায় গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছিলেন অঙ্কন। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক হলেও পারফরম্যান্সে আলো ছড়াতে পারেননি তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে বিপিএলে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে সবশেষ ডিপিএলেও রান পেয়েছেন অঙ্কন। তবে জাতীয় দলে খেলা নিয়ে খুব বেশি তাড়াহুড়ো করছেন না তিনি।
২০২৫ সালেই জাতীয় দলে সুযোগ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অঙ্কন বলেন, ‘এসব আমার মাথায় নেই। আমি এসব নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি না। আমার যে কাজ চেষ্টা করি ওইভাবেই কাজ করার। আমি চাই যাতে আমি আরও বেশি কাজ করতে পারি, তাড়াতাড়ি অনেক ভালো কিছু করতে পারি। সেটাই আমার লক্ষ্য।’