পক্ষপাত না হয়ে সত্যিটা তুলে ধরার অনুরোধ ফারুকের
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

বিবৃতিতে জানানো হয়, অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৩৮ কোটি টাকা উত্তোলন করে ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকার ব্যাংকগুলোতে পুনর্বিনিয়োগ করা হয়েছে। বাকি ১২ কোটি টাকা খরচ হয়েছেন বিসিবির পরিচালনা ব্যয় নির্বাহে। ফারুক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এখন পর্যন্ত তাদের অর্থগুলো ও স্থায়ী আমানতগুলো ১৩ টি ব্যাংককে দিয়েছে। যার ফলে আগের তুলনায় ২-৫ শতাংশ মুনাফা বেড়েছে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের।
নির্ধারিত সময়েই ভারত সিরিজের আশায় বিসিবি সভাপতি
১৪ ঘন্টা আগে
বিসিবির নথি অনুসারে, মিডল্যান্ড, আইএফআইসি, আল আরাফা ইসলামী, এক্সিম, ইউসিবি ও সরকারি জনতা, বেসিক ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে এফডিআরের টাকা তুলে তা পরবর্তীতে মধুমতি, ইস্টার্ন, ব্র্যাক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, প্রাইম, পূবালী, মেঘনা, বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও সিটি ব্যাংকে রাখা হয়েছে। যদিও মিডল্যান্ড ব্যাংক জানায় তাদের নামে যা বলা হয়েছে তা ‘বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন’।

এসব ইস্যুতে ৩ মে মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ফারুক। পক্ষপাত না হয়ে সবার সামনে সত্যিটা তুলে ধরার অনুরোধ করেছেন বিসিবি সভাপতি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের জায়গাটায় অনেকের অনেক ইন্টারেস্ট আছে, তারাও হতে পারে। আমি জানি না ভালো কাজগুলা নিচে পড়ে যায় বাইরের প্রভাবে। দুইটাই করব—ভালো কাজের প্রশংসা করব, খারাপ কাজের সমালোচনা হবে এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। কিন্তু মাঝে মাঝে ভালো কাজগুলো নিচে চাপা পড়ে যায় এই খারাপ কাজের ভিড়ে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে কারণ আপনারা যদি সত্যিটা তুলে ধরেন এবং বায়াসড না হয়ে কাজ করেন আমার মনে হয়...।’
জেলা-বিভাগে ক্রিকেটে উন্নতি না করলে তার বোর্ডে আসা প্রয়োজন নেই: তামিম
১৮ ঘন্টা আগে
‘অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা থেকে যেন আমরা মুক্ত হতে পারি, এটা সবার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। আমি এমন একজন মানুষ—আমি সবসময় বলি সমালোচনা করেন গঠনমূলক, সেটা কিন্তু মেনে নেয়া হয়। কিন্তু কিছু বিষয় আছে অপ্রয়োজনীয়ভাবে করা আরকি। আমি আশা করব এটা না করলেই ভালো। মেইন ফোকাসটা সরে যায় তাহলে। ক্রিকেটের যে মেইন ফোকাস—আমাদের দায়িত্বটা কী বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ওইগুলোতে আমাদের ত্রুটিগুলো ওইগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব প্রথম। তারপর বাকি কাজ।’
৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর নাজমুল হাসান পাপনও বিসিবির সভাপতির পদ হারান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত হয়ে নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন ফারুক। যদিও সবশেষ কয়েকদিনে অভিযোগ উঠেছে সবশেষ সরকারের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে তার। এমনকি অনেকের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কও আছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। যদিও এসব কিছু অস্বীকার করে ফারুক জানান, স্বৈরাচারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতাম না।
ফারুক বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট রেজিম কিন্তু ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে বানানো। এটা নিয়ে আমি দীর্ঘ আলোচনা করতে চাই না…আমার ফ্যাসিস্টের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই। ফ্যাসিস্ট রেজিমের সঙ্গে যদি সম্পর্ক থাকতো, আমি আজকে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতাম না। আমি কিন্তু প্রেসিডেন্ট এই নতুন সরকারের। এটা কিন্তু আপনাদের বুঝতে হবে। নতুন সরকার যদি দেখে বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা থাকতো আমার, তাহলে কিন্তু আমি এখানে আসতাম না আজকে।’