অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ জিতিয়ে ৬ জনকে ধন্যবাদ মিরাজের

ছবি: ম্যাচ সেরার পুরষ্কার হাতে মেহেদী হাসান মিরাজ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

এমন পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরষ্কারও জিতেছেন তিনি। সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর দেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকারি তিনি। সেই সঙ্গে টেস্টে দুই হাজার রানের পাশাপাশি ২০০ উইকেট নেয়ারও কীর্তি গড়েছেন মিরাজ। এমন রেকর্ডময় ম্যাচের পর ছয়জনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন মিরাজ।
বোলিংয়ে মিরাজের উন্নতি, ব্যাটিংয়ে শান্ত-মুমিনুল-জাকের
৭ ঘন্টা আগে
মিরাজ সাধারণত ব্যাটিংয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে সবসময় কাজ করেন ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রসিদ্ধ কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের সঙ্গে। এ ছাড়া স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গেও ভালো সখ্যতা মিরাজের। সোহেল অবশ্য এখন জাতীয় দলের সঙ্গেই কাজ করছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স করে এই দুজনের পাশাপাশি টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মিরাজ।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে। সত্যি কথা বলতে প্রথম ম্যাচ হারার পরে যেভাবে আমরা কামব্যাক করেছি এটা আমাদের দরকার ছিল। আমাদের সবার কমিটমেন্ট ছিল আমরা সবাই ভালো করবো। শুরুতে আমি অবশ্যই তিনটা মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই। যেহেতু ব্যাটিংটা নিয়ে অনেকদিন কাজ করছিলাম—কোচ বাবুল স্যারকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে চাই। একই সঙ্গে আমাদের দলের যে ম্যানেজার আছে নাফিস ইকবাল—তিনি আমাকে সবসময় বুস্টআপ করেন। '
চট্টগ্রাম টেস্ট জিতেও শান্ত বললেন, খুব বেশি খুশি নই
৫ ঘন্টা আগে
মিরাজ আরও যোগ করেন, 'আজকেও যখন ব্যাটিংয়ে যাচ্ছিলাম তখন আমাকে বলছে, ‘মিরাজ তুই কিন্তু প্রপার ব্যাটার এবং তোর কিন্তু একশ রান আছে। উনি সবসময় চেষ্টা করে বুস্টআপ করার জন্য।’ দুইটা মানুষকে অবশ্যই মনের ভেতর থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আর বোলিং যেটা বললেন বোলিং খুবই ভালো হয়েছে। বোলিংয়ের তো আমাদের দলের সঙ্গেই আছে আমার গুরু সোহেল ইসলাম। অবশ্যই তিনটা মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই।'
আগের দিনই তাইজুল ইসলামকে নিয়ে বাংলাদেশের বড় লিডের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন মিরাজ। তবে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে কতক্ষণ তিনি লড়াই করতে পারবেন তা নিয়ে ছিল শঙ্কা। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে তাইজুলকে নিয়ে ৬৩, তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে ৯৬ ও শেষদিকে হাসানকে নিয়ে বাংলাদেশের ২১৭ সালের লিড নিশ্চিত করেন মিরাজ। ম্যাচ শেষে এই তিন সতীর্থের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, 'দেখুন, আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম চেষ্টা করেছিলাম দুইটা রান যেন নিতে পারি। ওইভাবেই দৌড় দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম বলটা দূরে গেছে কিন্তু বল ফিল্ডারের কাছে গেছে। তারপর ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি—যদি আমার কপালে থাকে হ্যাঁ একশ হবে আর যদি আউট হয়ে যায় তাহলে তো কারো কিছু করার নেই। কিন্তু হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। সাকিবও (তানজিম সাকিব) ভালো সাপোর্ট দিয়েছে, তাইজুল ভাই। অবশ্যই ওদের তিনজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ওরা যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছে, ওদের জন্যই আমি একশ রান করতে পেরেছি। এটা খুবই ভালো লেগেছে।'