বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়েকে একই কাতারে রাখছেন উইলিয়ামস

ছবি: সংবাদ সম্মেলনে শন উইলিয়ামস, ক্রিকফ্রেঞ্জি

বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটে উন্নতির ছাপ চোখে পড়েছে জিম্বাবুয়ের টেস্ট অধিনায়ক শন উইলিয়ামসেরও। তিনি দাবি করেছেন জিম্বাবুয়েও বেশ কয়েকজন তরুণ পেসার পেয়েছে। তিনি আশাবাদী বাংলাদেশের দেখানো পথেই তার দেশের পেসাররাও এগোনো শুরু করবেন।
‘খেললেই জিম্বাবুয়ে বুঝবে নাহিদ কত গতিতে বল করে’
২ ঘন্টা আগে
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে উইলিয়ামস বলেন, 'আমার মনে হয় তারা এতে বেশ দক্ষ। বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণকে আমি বছরের পর বছর ধরে উন্নতি করতে দেখেছি। আর এখন তাদের কাছে নির্বাচনের জন্য যে পরিমাণ খেলোয়াড় আছে, তা সত্যিই অবাক করার মতো। আমি সত্যিই তোমাদের দেশ এবং আমাদের দেশের এই উন্নতি দেখে আনন্দ পেয়েছি। আশা করি আমরাও একইভাবে এগোতে শুরু করব।'

তিনি নিজ দলের পেসারদের উত্থানেও দারুণ আনন্দিত। বিশেষ করে তিনি নিউম্যান নিয়ামুরি ও ব্র্যাড ইভান্সের মতো পেসার উঠে এসেছেন দেশটি থেকে। তাদের মতো মানসম্পন্ন পেসারের হাত ধরেই আবার সোনালী যুগে ফেরার স্বপ্ন দেখছে জিম্বাবুয়ে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশেরও প্রশংসা করলেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্পিন উইকেট বানানোর প্রয়োজন দেখেন না সিমন্স
১৮ এপ্রিল ২৫
তিনি বলেছেন, 'যেমন আপনি দেখতে পাচ্ছেন, আমাদের তরুণ খেলোয়াড় নিউম্যান ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করছে। আরও কয়েকজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ পেসার আছে, যেমন ব্র্যাড ইভান্স। দুর্ভাগ্যবশত সে এখন এখানে নেই, কিন্তু আমাদের দলে উচ্চ সামর্থ্যসম্পন্ন খেলোয়াড়ও রয়েছে। তাই হ্যাঁ, আমি মনে করি তোমরা ভালো করছ।'
এবারের সিরিজে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দুই দলকেই একই কাতারে রাখছেন উইলিয়ামস। বিশেষ করে দুই দলেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সংখ্যা হাতে গোনা। জিম্বাবুয়ের টেস্ট দলে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে মাত্র ৪ জনের উপমহাদেশে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা ক্রিকেটার মুশফিক শুধু আছেন এবারের দলে। চেনা মুখদের মধ্যে সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের এবার প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে না জিম্বাবুয়ে।
নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে উইলিয়ামস বলেন, 'আমার মনে হয়, আমরা একই অবস্থানে আছি। আমাদের দিকে তাকালে দেখবেন, আমাদের মধ্যে মাত্র চারজনের সাবকন্টিনেন্টে টেস্ট ম্যাচের অভিজ্ঞতা আছে। তাই আমি বলব, প্রস্তুতি এবং অভিজ্ঞতার দিক থেকে উভয় দলই প্রায় সমঅবস্থানে আছে। তবে আমাদের খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রেও একই কথা। তাই আমি মনে করি, এটি এখন মানসিক প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে—কিভাবে খেলোয়াড়রা নিজেদেরকে ফোকাসড রাখে, বিভ্রান্তি দূর করে এবং চাপের মুহূর্তগুলো সামলে নেবে।'