অধিনায়ক হতে রাজী থাকলেও আপাতত শান্তকে সাপোর্ট করতে চান মিরাজ

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

২০২৪ সালের অক্টোবরে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সব ফরম্যাটেই বাংলাদেশের নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন শান্ত। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আলাপ শেষে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। যদিও চলতি বছরের শুরুতে বিপিএলের সময় টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
মিরপুরের বাইরে টি-টোয়েন্টি চান মিরাজ
১১ এপ্রিল ২৫
বাঁহাতি ব্যাটার অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর থেকেই নতুন অধিনায়ক খুঁজছে বিসিবি। বাংলাদেশের পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন লিটন দাস। ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটারের নেতৃত্ব সবশেষ ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। লিটনের পাশাপাশি বেশ কয়েকবার আলোচনায় উঠে এসেছিল মিরাজের নামও। যদিও সেটার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।

শান্ত টেস্ট কিংবা ওয়ানডের নেতৃত্ব ছাড়লে অধিনায়ক হতে পারেন মিরাজ। কয়েকমাস আগে অবশ্য এমন আলোচনাও তৈরি হয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে মিরাজের অধীনে টেস্ট জেতায় এবং অলরাউন্ডার হিসেবে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি। অধিনায়ক হতে রাজী থাকলেও আপাতত টেস্ট অধিনায়ক শান্তকে সমর্থন দিয়ে যেতে চান মিরাজ।
ভারত সিরিজের সূচি প্রকাশ করল বাংলাদেশ
১৪ মিনিট আগে
বিএসপিএ অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘দেখুন, সবশেষ সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলাম আমি করেছি। যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে বিপিএলেও অধিনায়কত্ব করেছি, শান্ত ছিল এজন্য ওয়ানডে এবং টেস্টে করা হয়েছে। যদিও দায়িত্ব দেয় তাহলে অবশ্যই সেটা যেন ভালোভাবে পালন করতে পারি সেটা নিয়ে চিন্তা করব। যেহেতু এখন যে অধিনায়কত্ব করছে, আছে ও (শান্ত)। আমাদের ওকে সাপোর্ট করাটা গুরুত্বপূর্ণ এবং পারফর্ম করা গুরুত্বপূর্ণ।’
সবশেষ ডিসেম্বরের পর আবারও টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হবে প্রথম টেস্ট। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে ২৮ এপ্রিল থেকে। পরিসংখ্যান, রেকর্ড ও র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে। যদিও পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নিচ্ছে বাংলাদেশ। মিরাজ জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভালো করার আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে।
মিরাজ বলেন, ‘দেখুন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিন্তু সবসময় চ্যালেঞ্জি, আপনি যে দলের সঙ্গেই খেলেন না কেন। যেহেতু আমাদের হোম সিরিজ অবশ্যই আমরা বাড়তি সুবিধা পাব। যেহেতু সবশেষ টেস্ট সিরিজটা আমরা ভালো করেছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছি। এটা একটা আলাদা আত্মবিশ্বাস যোগাবে খেলোয়াড়দের। একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের পারফর্ম করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ব্যাটাররা আর বোলাররা। আমার কাছে মনে হয় আমাদের যে দলটা আছে তারা সবাই পারফর্ম করার জন্য প্রস্তুত।’