২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে সিমন্স

ছবি: বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স, ক্রিকফ্রেঞ্জি

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি। সিমন্স বাংলাদেশ দলের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে কাজের সুযোগ পেয়ে দারুণ আনন্দিত। তিনি মনে করেন বাংলাদেশ দলের মধ্যে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব। তিনি আবারও কাজ শুরু করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
সিমন্স-মুশতাকের সঙ্গে ২০২৭ পর্যন্ত চুক্তি বাড়াচ্ছে বিসিবি
৩ মার্চ ২৫
সিমন্স বলেছেন, 'বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এই দলের মধ্যে যে প্রতিভা রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না এবং আমি বিশ্বাস করি যে আমরা একসাথে দারুণ কিছু অর্জন করতে সক্ষম হবো। আমি সামনের এগিয়ে যাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।'
সিমন্স আরও যোগ করেন, 'ইতোমধ্যে কিছু অসাধারণ খেলোয়াড়ের সাথে কাজ করে, আমি এই দলের মধ্যে অপরিসীম প্রতিশ্রুতি দেখতে পাচ্ছি। তাদের দক্ষতা এবং খেলার প্রতি আবেগ আমাকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করে। একসাথে, আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং আমরা সত্যিই বিশেষ কিছু তৈরি করতে পারি।'

কোচ হিসেবে বেশ অভিজ্ঞই বলা চলে সিমন্সকে। ২০০২ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর কোচিংকেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন সিমন্স। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান। তবে এক বছরের মাথায় ২০০৫ সালে বরখাস্ত হন তিনি। এর পর ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আয়ারল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব থেকে আদ্রিয়ান বিরেল পদত্যাগ করলে সিমন্স তার স্থলাভিষিক্ত হন।
আল্লাহর অশেষ রহমত ও সকলের দোয়ায় আমি ফিরে এসেছি: তামিম
১৮ ঘন্টা আগে
২০১৫ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড দলের দায়িত্বে ছিলেন অভিজ্ঞ এই কোচ। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বড় চমক দেখিয়েছিল আইরিশরা। আর তার অধীনেই ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ডেকে হারায় আয়ারল্যান্ড।
আইরিশদের দায়িত্ব ছাড়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দায়িত্ব নেন সিমন্স। ২০১৬ সালে বিশ্বকাপের জয়ের পর ২০১৭ সালে তিনি পাড়ি জমান আফগানিস্তানে। সেখানে ব্যাটিং কোচ ও পরবর্তীতে প্রধান কোচ হন তিনি। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দায়িত্ব বুঝে নেন এই কোচ। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে সরে দাঁড়ান সিমন্স। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিলেন এই কোচ।