চেন্নাইয়ে ফেল করায় বোলিংয়ে নিষিদ্ধই থাকছেন সাকিব
ছবি: দুঃসময় যেন পিছুই ছাড়ছে না সাকিব আল হাসানের
গত বছর পাকিস্তান সফর শেষ করে বাংলাদেশে না ফিরে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন সাকিব। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন-ওয়ানের ম্যাচে সমারসেটের বিপক্ষে খেলে ভারত সফরের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। ২০১১-১২ মৌসুমের পর কাউন্টি ক্রিকেটে ফিরেই বল হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও সবমিলিয়ে ম্যাচে ১৯৩ রানে ৯ উইকেট নিয়ে ভারত সফরের প্রস্তুতিটা বেশ ভালোভাবেই নিয়েছিলেন তিনি। তবে ম্যাচ শেষের পরই দুঃসংবাদ পেতে হয় তাকে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডের কাউন্টি, দ্য হান্ড্রেড কিংবা ইসিবির অধীনে যেকোন ম্যাচ খেলার ছাড়পত্র পেতে তাকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে বলা হয়।
গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের অদূরের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগের কাছে পরীক্ষা দেন সাকিব। যেখানে বেশ কয়েক ওভার বোলিং করেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। তবে সেখানকার পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারের। গত ২১ ডিসেম্বর শ্রী রমাচন্দ্র সেন্টার ফর স্পোর্টস সায়েন্সে স্বতন্ত্র পুনর্মূল্যায়ন পরীক্ষা দেন।
চেন্নাইয়ে দেয়া সেই পরীক্ষাতেও পাশ করতে পারেননি সাকিব। ফলে ইসিবির দেয়া রায় অনুযায়ী, বোলিংয়ে নিষিদ্ধই থাকছেন তিনি। বোলিংয়ে ত্রুটিমুক্ত হতে চাইলে আরও পরীক্ষা দিতে পারবেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তবে ৬.১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বোলিংয়ে ফেরার পর আবারও বোলিং অ্যাকশনের সমস্যা হলে এক বছর নিষিদ্ধ থাকতে হবে সাকিবকে।
১২ জানুয়ারি আইসিসির কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাথমিক স্কোয়াড পাঠাবে বিসিবি। গুঞ্জন ছিল বোলিং অ্যাকশন শুধরে আসতে পারলে তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেয়া কথা বিবেচনা করবে বিসিবি। তবে আপাতত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না সাকিবের! কারণ শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে জাতীয় দলে তাকে নেয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।