বিশ্বকাপের টিকিট পেতে জ্যোতির পরিস্কার বার্তা ‘সিরিজ চাই’
ছবি: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, ক্রিকফ্রেঞ্জি
অন্তত দুটি ম্যাচে জিততে পারলেই ষষ্ঠ দল হিসেবে ভারত বিশ্বকাপের টিকিট পাবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমীকরণও সিরিজ জয়ই। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে কাজটা একেবারেই সহজ হবে না জ্যোতিদের জন্য। তবে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণে অনুপ্রেরণা হতে পারে কদিন আগে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়। তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে ১৪ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন জ্যোতিরা।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার আগে নিজেদের লক্ষ্যের কথা শুনিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ডানহাতি এই ব্যাটারের জানান, আপাতত চার পয়েন্ট নিতে পারাই তাদের প্রথম লক্ষ্য। জ্যোতি বলেন, ‘প্রথমত আমাদের লক্ষ্য তো একটাই আমরা যেন চারটা পয়েন্ট নিতে পারি এবং সরাসরি যেন ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারি। আমরা আসলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে নেই। ওয়ানডে দলটা যেভাবে ভালো ক্রিকেট খেলেছে গত সিরিজে.. বলব আধিপত্য বিস্তার করেই ক্রিকেট খেলেছে।
‘এখন পর্যন্ত অনেক সমীকরণ অনেকের মাথায় থাকবে কিন্তু আমি চাই আমার দলকে পরিস্কার বার্তা দিয়েছি আমাদের ওইখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে এবং আমাদের নিতে হবে। সুতরাং পরের হিসেবটা পরে আসবে, ম্যাচ জিতলে তারপর না হয় সমীকরণে আসব আমরা। ম্যাচ জেতার দিকেই বেশি মনোযোগ আমাদের।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকে সামনে রেখে মিরপুরে নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে অনুশীলন ম্যাচও খেলেছেন তারা। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতি সামলাতে বেশ কয়েকজন তরুণ পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ক্রিকেটারদের অনুশীলন দেখে খুশি জ্যোতিও। বাংলাদেশের অধিনায়ক জানিয়েছেন, তারা কেউই বাছাই পর্ব খেলতে চান না।
জ্যোতি বলেন, ‘এটা নির্ভর করছে দল কিভাবে দেখছে সিরিজটাকে। শুধুই কি শুধু একটা সিরিজ নাকি বিশ্বকাপের একটা টিকিট। এদিক থেকে চিন্তা করলে সবাই যেভাবে অনুশীলন করছে এবং সবার কথাবার্তা শুনে মনে হয় একশ ভাগের বেশি মনোযোগী। কারণ আমাদের কেউই চায় না আমরা যেন বাছাই পর্ব খেলি। অবশ্যই সবাই অনেক বেশি ফোকাস আছে।’
১৯ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পরের দুই ম্যাচ হবে ২১ এবং ২৪ জানুয়ারি। পুরো সিরিজই অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট কিটসে। একই মাঠে হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজও। ২০১৮ সালের পর এবারই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ম্যাচ খেলার সুযোগ মিলছে বাংলাদেশের মেয়েদের। নিয়মিত সেখানে না খেলার সঙ্গে ভিন্ন কন্ডিশনের কারণে বাড়তি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে তদের।
সেই চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়েও আছেন ক্রিকেটাররা। গত বছরের শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে সেন্ট কিটসে হয়েছে পুরো ওয়ানডে সিরিজ। ব্যাটিং স্বর্গের বাংলাদেশের ছেলেদের খেলা দেখে উইকেট সম্পর্কে ধারণা নিয়েছেন নারী ক্রিকেটাররা। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘দেখুন, প্রত্যেকটা জায়গায় আপনি যখন খেলতে যাবেন চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। কখনই কোন জায়গায় আপনাকে সহজে স্বাগত জানাবে না।’
‘চ্যালেঞ্জ থাকবে কিন্তু ওইগুলো মোকাবেলা করতে হবে। সবথেকে বড় বিষয় ইতিবাচক থাকার গুরুত্বটা অনেক বেশি। কদিন আগে ছেলেরা খেলে এসেছে, সেন্ট কিটসের উইকেট নিয়ে আমাদের কিন্তু অনেক আইডিয়া আছে। হ্যাঁ, ২০১৮ সালে সবশেষ আমরা ওইখানে খেলেছিলাম, বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই নেই যারা ওইসময় খেলেছে।’