বিপিএলের অভিজ্ঞতায় পুরানকে ‘বাক্সবন্দী’ করেছেন মেহেদী
ছবি: ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা শেখ মেহেদী, ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ
অর্থাৎ বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পুরান তিনবারই আউট হয়েছেন মেহেদীর বলে। অথচ বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পুরো বছরটা নিজের করে নিয়েছিলেন পুরান। আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মিলে ২০২৪ সালে ৪০.৮৯ গড় ও ১৫৭.৩৯ স্ট্রাইক রেটে ২ হাজার ৩২৩ রান করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার। একটি সেঞ্চুরি ও ১৫ হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ১৭০টি ছক্কা মেরেছেন পুরান।
মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সরিয়ে এক পঞ্জিকা বর্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক এখন তিনি। অথচ এমন একজনকেই কিনা পুরো সিরিজে জ্বলে উঠতে দেননি মেহেদী। পুরো সিরিজে মাত্র ২১ রান করেছিলেন পুরান। বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে যেন ‘বাক্সবন্দী’ করে রেখেছিলেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। তিন ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হওয়ার পর মেহেদী জানিয়েছেন, একসঙ্গে বিপিএলসহ অন্যান্য দলে খেলায় পুরানের দূর্বলতা কাজে লাগিয়েছেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মেহেদী বলেন, ‘বিপিএলে ও অন্যান্য দলে একসঙ্গে খেলায় পুরানকে খুব ভালো করেই জানি আমি। অফ স্পিনারদের বিপক্ষে পুরানের কাজ কঠিন হয়ে ওঠে, এটা জানি আমি। এটাই ছিল পরিকল্পনা এবং ভালোভাবে প্রয়োগ করে আমরা সফল হতে পেরেছি।’
প্রথম টি-টোয়েন্টির পর আক্ষেপ করে মেহেদী বলেছিলেন, ২০ ওভারের ক্রিকেট কিংবা ওয়ানডে কোথাও নিজের জায়গা পোক্ত না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলের সমন্বয়ের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ডানহাতি এই স্পিনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজসেরা হওয়ায় দলে জায়গা পোক্ত হবে কিনা এমনটা জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে।
মেহেদী জানান, দল নির্বাচনের প্রক্রিয়াটা তাঁর হাতে। তাই তাঁর কাজ হিসেবে শুধু পারফর্ম করে যেতে হবে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মেহেদী বলেন, ‘আপনি যেটা বললেন দল নির্বাচন তো আমার হাতে না। পারফরম্যান্স আমি চেষ্টা করতে পারি আর বাদ বাকি দেয়ার আল্লাহর ইচ্ছা। সিলেকশন আমার হাতে না কিন্তু আমার কাজ আমাকে করে যেতে হবে। বাকিটা নির্বাচকদের দায়িত্ব।’