‘রান আউট’ হয়ে ড্রেসিং রুমে সবকিছুতে লাথি মেরেছিলেন জাকের
ছবি: ৪১ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা জাকের আলী, ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মাঠে ছাড়ার পাশাপাশি ড্রেসিং রুমেও পৌঁছে গিয়েছিলেন তরুণ এই ব্যাটার। কিন্ত টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় চেজ স্টাম্পের বেলস উপরে ফেলার আগেই ক্রিজে প্রবেশ করেছিলেন জাকের। একই সময়ে শামীমের ব্যাটে ছিল পপিং ক্রিজের বাইরে। ফলে জাকের নয় রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় শামীমকে। সেই অল্প সময়ের মাঝে ড্রেসিং রুমে নিজের উপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন জাকের।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রান আউট হয়ে ফেরায় ব্যাট কিংবা আশেপাশে থাকা জিনিসের উপর লাথি মারছিলেন তিনি। এমন অবস্থায় ড্রেসিং রুম থেকে ডেকে এনে আবারও ব্যাটিংয়ে পাঠান চতুর্থ আম্পায়ার। ব্যাটিংয়ে ফিরে মাত্র ৪১ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ছয় ছক্কা ও তিন চারে খেলা জাকেরের এমন ইনিংসে ১৮৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে এমন কাণ্ড ঘটনার কথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে জাকের বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা ভয়বহ ভুল–বোঝাবুঝি ছিল। ড্রেসিংরুমে গিয়ে আমি নিজেকে, ব্যাটে এবং আশপাশে যা কিছু ছিল, সবকিছুতে লাথি মারছিলাম। আর তখনই তাৎক্ষণিকভাবে থার্ড আম্পায়ার (ফোর্থ আম্পায়ার) আমাকে ডেকে নিল।’
শুধু শামীম নয় একই ওভারে রান আউট হয়েছেন শেখ মেহেদীও। চেজের লেংথ ডেলিভারিতে কাভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন জাকের। মেহেদী সাড়া দিলেও যথাসময়ে স্ট্রাইক প্রান্তে পৌঁছাতে পারেননি। মেহেদী পৌঁছানোর আগেই বেলস উপরে ফেলেন নিকোলাস পুরান। কোন বল না খেলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মেহেদীকে। একই ওভারে দুটি রান আউট হওয়ায় চাপে পড়েছিলেন বলে জানান জাকের।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘অবশ্যই, চাপ ছিল। আমার মনে হয় খেলাটা খুব ভালোভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছিল বড় একটা স্কোরের জন্য। তখনই হঠাৎ করে টানা দুইটা রান আউট। অবশ্যই, আমি একটু হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর চেষ্টা করেছি যেন শেষ পর্যন্ত খেলতে পারি।’
টি-টোয়েন্টি মতো পুরো সফরেই ব্যাট হাতে সফল ছিলেন জাকের। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ৩ ম্যাচে ১২০, ওয়ানডেতে ৩ ম্যাচে ১১৩ এবং টেস্টে ৪ ইনিংসে ১৭৬ রান করেছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তাদের পেসারদের বাউন্সার বেশ ভালোভাবে সামলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। জাকের জানান, বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে আসায় বাউন্সারের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন।
জাকের বলেন, ‘বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে এসেছিলাম তখনই আমাকে ওরা কঠিন সময় দেয়। ওই সময় থেকেই আমার মাথায় ছিল ওরা যেভাবেই হোক আমাদের বাউন্সার মারার চেষ্টা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আসার আগে আমি ওই রকম পরিকল্পনা নিয়েই আসছিলাম।’