ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ সাকিবের বোলিং
ছবি: ইংল্যান্ডের কোন ঘরোয়া টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারবেন না সাকিব আল হাসান, ফাইল ছবি
পাকিস্তান সফর শেষ করে বাংলাদেশে না ফিরে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন সাকিব। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন-ওয়ানের ম্যাচে সমারসেটের বিপক্ষে খেলে ভারত সফরের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। ২০১১-১২ মৌসুমের পর কাউন্টি ক্রিকেটে ফিরেই বল হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও সবমিলিয়ে ম্যাচে ১৯৩ রানে ৯ উইকেট নিয়ে ভারত সফরের প্রস্তুতিটা বেশ ভালোভাবেই নিয়েছিলেন তিনি। তবে ম্যাচ শেষের পরই দুঃসংবাদ পেতে হয় তাকে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডের কাউন্টি, দ্য হান্ড্রেড কিংবা ইসিবির অধীনে যেকোন ম্যাচ খেলার ছাড়পত্র পেতে তাকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে বলা হয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের অদূরের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগের কাছে পরীক্ষা দিয়েছেন সাকিব। যেখানে বেশ কয়েক ওভার বোলিং করেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। শুরুর দিকে একটু জোরের উপর বোলিং করলেও পরবর্তীতে গতি কমিয়ে দিয়েছেন। তবে সেখানকার পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারের।
ফলে ইংল্যান্ড বোর্ডের অধীনে আয়োজিত কোন টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারবেন না সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের খারাপ সময় যেন পিছুই ছাড়ছে না। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনে সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ফিরতে পারছেন না সাকিব। মিরপুরে সাউথ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে চাইলেও সরকার তাকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি।
মূলত সাকিব যাতে দেশের হয়ে খেলতে না পারেন এবং দেশে ফিরতে না পারেন এমন দাবি তুলে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্র-জনতা। মিরপুরে এমন আন্দোলনের পর থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাচ্ছে না তাকে। বর্তমানে লঙ্কা টি-টেন সুপার লিগে গল মারভেলসের হয়ে খেলছেন সাকিব। সেখানেও খানিকটা বিপাকে আছেন তিনি।
গলের মালিক প্রেম ঠাকুর বিদেশি এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিককে গ্রেফতার করেছেন শ্রীলঙ্কান স্পোর্টস পুলিশ। এ ছাড়া কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ক্রিকেট লিগে লস অ্যাঞ্জেলস ওয়েভসের হয়ে খেলেছিলেন এবং অধিনায়কত্ব করেছিলেন সাকিব। নানা অনিয়মের জেরে সেই টুর্নামেন্টকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে আইসিসি।