সবশেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে নারী ক্রিকেট নিয়ে টালমাটাল বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। কদিন আগে নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তোলেন জাহানারা ইসলাম। পাশাপাশি নিগার সুলতানা জ্যোতির বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট বানানোর অভিযোগও তুলেছেন বাংলাদেশের ডানহাতি এই পেসার। জাহানারার অভিযোগের পর মুখ খুলতে থাকেন আরও অনেকে।
কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের চারিত্রিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলের রেশমা আক্তার আদুরি। এসব কিছু নিয়ে দেশের ক্রিকেট যখন টালমাটাল তখন মিডিয়াতে ভাইরাল হয় ২ মাসের পুরনো এক চিঠি। গত ৮ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর জেলা নারী ক্রিকেট খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির পক্ষে এনএসসিতে চিঠি দেন রিয়া। যেখানে বেশ অভিযোগ সামনে আনা হয়। অভিযোগগুলোর অন্যতম ছিল নারী ক্রিকেটারের সঙ্গে ফাহিমের অবৈধ সম্পর্ক এবং অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের ক্রিকেট নির্বাচন প্রক্রিয়ার অনিয়ম।
বয়স বেশি হওয়ার পরও এশা রহমান, আখি আক্তার, রুমানা আহমেদ, মীম খাতুন, চিত্রিতা অধিকারী, জেরিন তাসনিম লাবণ্য, লামিয়া মৃধা, আফরিন মীম, রিজভী দাস এবং ববি খাতুনকে খেলানো হচ্ছে। ঢাকা লিগে পারফর্ম করার পরও স্বজনপ্রীতি করে খাদিজা খাতুন, লাবনি আক্তার ও ফারজানা ইয়াসমিনকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। তবে মাস দুয়েক পর রিয়া জানালেন, তিনি এমন কোন চিঠি দেননি। পাশাপাশি তাঁর স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিজের ফেসবুক পোস্টে রিয়া লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে অনেকেই এই চিঠির বিষয় জিজ্ঞেস করেছেন, তাদেরকে পূর্বেও বলেছি এই চিঠি আমি প্রদান করিনি, আজকে সকলের উদ্দেশ্যে আমি এই বিষয়টা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আমি এমন কোন চিঠি প্রদান করিনি।এখানে ব্যবহৃত আমার স্বাক্ষরটাও নকল করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যবহৃত আমার যে স্বাক্ষর আছে সেটা সংযুক্ত করে দিয়েছি।’
চিঠি পাওয়ার সপ্তাহখানেক পর ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও নারী ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা চায় এনএসসি। দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে সেই চিঠির ব্যাখ্যা দিয়েছে বিসিবি। যেখানে বলা হয়েছে, অনেক কিছু পর্যালোচনা করার পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় নির্বাচন প্রক্রিয়ার কোন প্রকার অনিয়ম খুঁজে পায়নি।