রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে হারাল জিম্বাবুয়ে
ছবি: উইকেট পেয়ে জিম্বাবুয়ের ফিল্ডারদের উল্লাস
পরের দুই বলে এসেছে আারও চার রান। ম্যাচ জিততে জিম্বাবুয়ের তখন ৩ বলে প্রয়োজন ৩ রান। সেই সমীকরণ মেলাতে খুব বেশি চাপ নিতে হয়নি স্বাগতিকদের। আজমতউল্লাহর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মিড অনে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন মুসেকিওয়া। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৬ বারের দেখায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটি জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় জয়।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জয়ের জন্য ১৪৫ রান তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। সাবধানী শুরু করা স্বাগতিকরা উইকেট হারায় ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। নাভিন উল হকের বলে আজমতউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৯ রান করা তাদিওয়ানাশে মারুমানি। এরপর তিনে নামা ডিওন মেয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন ব্রায়ান বেনেট।তারা দুজনে মিলে যোগ করেছেন ৭৫ রান।
বেনেটকে দারুণ সঙ্গ দেয়া মেয়ার্সের বিদায়ে ভাঙে তাদের জমে ওঠা জুটি। মোহাম্মদ নবির মিডল ও লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার মোহাম্মদ ইসাককে ক্যাচ দিয়েছেন। মেয়ার্সকে ফিরতে হয় ২৯ বলে ৩২ রানে। চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সিকান্দার রাজা। ৫ বলে ৯ রান করা জিম্বাবুয়ের অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন নাভিন উল হক।
মেয়ার্স ও রাজার বিদায়ের পরও হাফ সেঞ্চুরির পথে বেশ ভালোভাবেই ছিলেন বেনেট। তবে জিম্বাবুয়ের ওপেনারকে পঞ্চাশ ছুঁতে দেননি রশিদ খান। ডানহাতি লেগ স্পিনারের ব্যাক অব লেংথের স্কিড করা ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বেনেট। তবে বলে খানিকটা গতি থাকলেও প্রত্যাশিত বাউন্স না থাকায় বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ২১ বছর বয়সী ওপেনার হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন ৪৯ রানের ইনিংস খেলে।
বেনেট ফেরার পর দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়েছেন রায়ান বার্ল এবং ওয়েসলি মাধেভেরেরা। তাদের দুজনের বিদায়ে শঙ্কা জাগে জিম্বাবুয়ের হারের। তবে শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মিলিয়ে স্বাগতিকদের জয় এনে দিয়েছেন মুসেকিওয়া। ডানহাতি ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ১৬ রানে। তাকে সঙ্গ দেয়া মাসাকাদজা ২ বলে করেছেন ৬ রান। আফগানদের হয়ে নাভিন উল হক তিনটি এবং রশিদ নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ, সেদিকউল্লাহ অটলরা। মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই ২০ রান করে যখন ফেরেন তখন আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ৫৮। সেখান থেকে সফরকারীদের ১৪৪ রানের পুঁজি এনে দিয়েছেন করিম জানাত ও নবি। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া করিম ৫৪ এবং নবি অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে। জিম্বাবুয়ের হয়ে রিচার্ড এনগারাভা নিয়েছেন ৩ উইকেট।