হাবিবুর সোহানের ঝড়ে রাজশাহীর জয়
ছবি: খুলনা বিভাগের বিপক্ষে হাবিবুর রহমান সোহানের ঝড়ো ব্যাটিং / ক্রিকফ্রেঞ্জি
সিলেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ১৭৩ রান তাড়ায় রাজশাহীকে দারুণ শুরু এনে দেন হাবিবুর সোহান ও সাব্বির। একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন হাবিবুর। নাহিদুল ইসলামের বিপক্ষে প্রথম ওভারেই দুই চার মেরেছেন তিনি। পরের ওভারে আল আমিন হোসেনের বিপক্ষে মেরেছেন একটি করে চার ও ছক্কা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির উপরও তাণ্ডব চালান সোহান।
দুই ছক্কা ও এক চারে সেই ওভার থেকে এসেছে ১৭ রান। মাত্র ৫.১ ওভারে দলের রান পঞ্চাশ হয় রাজশাহীর। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি হয়েছেন সোহান। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর মেহেদী হাসান রানাকেও দুটি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন। সোহানের ঝড় থামিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। বাঁহাতি পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে লং অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।
১৭৩.৬৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা সোহানকে ফিরতে হয়েছে ৩৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে। আটটি চারের পাশাপাশি চারটি ছক্কা মেরেছেন তরুণ এই ওপেনার। দলের রান একশ হওয়ার আগে আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার সাব্বির। টিপু সুলতানের আগের বলে চার মারা ডানহাতি এই ব্যাটার পরের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলের লাইনে যেতে পারেননি তিনি।
নুরুল হাসান সোহানের দৃঢ়তায় স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরের পথে হাঁটতে হয়েছে ২৮ রান করা সাব্বিরকে। এরপর জুটি গড়ে তোলেন প্রীতম ও মেহেরব। তারা দুজনে মিলে রাজশাহীকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যান। ২৬ রান করে মেহেরব ফিরেছেন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে। ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে ১০ রান আনেন প্রীতম। এরপর আলোকস্বল্পতার কারণে আর খেলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে ডিএলএস মেথডে ১১ রানে জয় তুলে নেয় রাজশাহী।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বিজয় শুরুতে ফিরলেও অমিত মজুমদার ও আজিজুল হাকিম তামিম মিলে খুলনাকে পথ দেখিয়েছেন। কদিন আগে যুব বাংলাদেশকে যুব এশিয়া কাপ জেতানো তামিম খেলেছেন ৩১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। ওপেনার অমিতের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ রান। তবে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ফিরেছেন মাত্র ২ রানে।
জিয়াউর রহমান , নাহিদুলরা ব্যর্থ হলেও খুলনাকে ১৭২ রানের পুঁজি এনে দেন নুরুল হাসান সোহান ও মৃত্যুঞ্জয়। যেখানে ২৬ বলে ৩৭ রান করেছেন সোহান আর শেষ দিকে মাত্র ১৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন মৃত্যুঞ্জয়। রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ রেজা। এ ছাড়া মোহর শেখ দুটি এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেরব ও নিহাদ উজ জামান।