নাসিরের কোচকে শাস্তি দিল আইসিসি
ছবি: সংগৃহীত
এই টুর্নামেন্টের দল পুনে ডেভিলসের সাবেক সহকারী কোচ সানি ধিলনকে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল ( আইসিসি)। এই দলে খেলেই নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
ধিলনকে সবধরনের ক্রিকেট থেকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। ধিলনের শাস্তি শুরু করা হয়েছে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে।
আইসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে, ‘আইসিসি এবং তাদের সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাদের (ডাকো) মাধ্যমে এমন কর্মকাণ্ড বাধা পেয়েছিল। সেটা ছিল ইসিবির আচরণবিধির আওতাধীন।’
পুনের সাবেক কোচের সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল স্থগিত। পূর্ণাঙ্গ শুনানি এবং মৌখিক ও লিখিত যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে ধিলনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তিনটি নিয়ম ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ধিলনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো হলো-
অনুচ্ছেদ ২.১.১: ২০২১ আবুধাবি টি-টেনে কোনো পার্টির মাধ্যমে ফিক্সিং করা অথবা ম্যাচের কোনো একটা ঘটনার ওপর অবৈধ প্রভাব খাটাতে উৎসাহ জোগানো
অনুচ্ছেদ ২.৪.৪: দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার অধীনে কোনো কাজে জড়িত হওয়ার ব্যাপারে আভাস পেলেও সেটা ডাকোকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া
অনুচ্ছেদ ২.৪.৬: দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার অধীনে ডাকোর তদন্ত কাজে সহযোগিতা না করা অথবা প্রত্যাখ্যান করা
দলটির সঙ্গে যুক্ত যে ৮ জনকে আইসিসি অভিযুক্ত করেছিল, তাদেরই একজন ধিলন। অভিযুক্ত বাকি সাতজনের মধ্যে অন্যতম নাসির। তিনি দুই বছরের জন্য সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। যদিও তার এক বছরের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রাখা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নাসির ক্রিকেটে ফিরতে পারেন ৭ এপ্রিল থেকে।
এদিকে চলতি বছরের আগস্টে ব্যাটিং কোচ আসহার জাইদি, পুনে ডেভিলসের দুই সহসত্বাধিকারী পরাগ সাঙভি ও কৃষাণ কুমার চৌধুরীকেও শাস্তি দিয়েছিল আইসিসি। জাইদিকে ক্রিকেটীয় কর্মকান্ড থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে তারা। আর সাঙভি, কৃষাণ দুজনই দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তাদের প্রত্যেকের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রয়েছে। তাদের এই দুর্নীতির অভিযোগ মূলত ২০২১ আবুধাবি টি-টেন ঘিরে।