টপ অর্ডারে অতিরিক্ত বাঁহাতি, সমস্যা মানছেন না হেম্প

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের শীর্ষ সাত ব্যাটারের মাঝে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসই কেবল ডান হাতে ব্যাটিং করেন। বাকি পাঁচজনের সবাই ব্যাটিং করেন বাঁ’হাতে। টপ অর্ডারে অতিরিক্ত বাঁহাতি ব্যাটার থাকায় এমন অবস্থায় নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হকদের আউট করার কাজটা সহজ হয়ে যায় প্রতিপক্ষের বোলারদের। লম্বা সময় ধরে এমনটা দেখা গেলেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত মেলেনি টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে। সমস্যাটা প্রকট হয়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ এটাকে সমস্যা হিসেবে দেখছেন না।
চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাদমান ইসলামের বিপক্ষে ওভার দ্য উইকেট থেকে টানা পাঁচটি আউট সুইং ডেলিভারির পর বোলিং সাইড পরিবর্তন করেন জসপ্রিত বুমরাহ। রাউন্ড দ্য উইকেটে এসেই দারুণ এক ডেলিভারিতে ফিরিয়েছেন বাঁহাতি সাদমানকে। লাঞ্চে যাওয়ার আগে প্রায় কাছাকাছি ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে জাকির হাসান ও মুমিনুলকে নিজের শিকার বানিয়েছেন আকাশ দীপ।

আরেক বাঁহাতি নাজমুল শান্ত অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ক্যাচ দিয়ে গেছেন বিরাট কোহলির হাতে। সাকিব আল হাসান অবশ্য রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন। টপ অর্ডারে অতিরিক্তি বাঁহাতি ব্যাটার থাকায় প্রায় একই লেংথ কিংবা একই পরিকল্পনায় বোলিং করতে পারছেন না বুমরাহ, সিরাজ কিংবা রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা। ধারাভাষ্য কক্ষ থেকেও বেশ কয়েকবার এত বেশি বাঁহাতি ব্যাটার নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ধারাভাষ্যকাররা।
তামিম ইকবাল, আতহার আলীরাও এসব নিয়ে কথা বলেছেন। যদিও এটাকে সমস্যা হিসেবে মানছেন না হেম্প। বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচের দাবি, ব্যাটাররা সবাই আলাদা ঘরানার এবং তাদের শক্তির জায়গাও আলাদা। তবে চাইলে ওয়ানডে ক্রিকেটের মতো এমন পরিবর্তন করা যেতে পারে বলে জানান। যদিও কোন পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেননি তিনি।
হেম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার মনে হয়। তারা সবাই প্রায় একই ঘরানার কিন্তু তারা প্রত্যেকেই আলাদা। তারা সবাই আলাদা আলাদা লেংথে রান করতে পারে এবং তাদের শক্তির জায়গাও আলাদা। তবে হ্যাঁ আপনি চাইলে ওয়ানডে ক্রিকেটের মতো টেস্টেও ডানহাতি-বাঁহাতির কম্বিনেশন রাখতে পারেন। তবে কিন্তু আমার মনে হয় না এটা আমাদের সমস্যা।’
প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানে ভারতের ৬ উইকেট তুলে নেয়ার পরও তাদেরকে চেপে ধরতে না পারায় আক্ষেপ করেছেন হেম্প। প্রথম দুদিন বোলাররা রাজত্ব করলেও তৃতীয় দিনে দাপট দেখিয়েছেন ব্যাটাররা। আগামীকালও এমন উইকেট থাকবে বলে ধারণা বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচের। হেম্প বলেন, ‘ভারতের যখন ৬ উইকেটে ১৪০ রান (আদৌতে ১৪৪ রান) ছিল তখন আমরা খুব ভালো অবস্থায় ছিলাম। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
‘প্রথম ইনিংসে এমন কিছু বল ছিল আমি বিশ্বাস করি সেগুলো মোকাবেলা করার জন্য আমরা যথেষ্ট সামর্থ্যবান। ম্যাচের পর আমরা আলোচনা করব দল হিসেবে কিভাবে আমরা আরও ভালো করতে পারি, সেটা বোলিং কিংবা ব্যাটিং হোক। আজকে দেখলাম অশ্বিন বেশ কিছু বলে উল্লেখযোগ্য বাউন্স পেয়েছে। কিন্তু এখনও আপনি রান করতে পারবেন। আগামীকালও উইকেট ব্যাটারদের পক্ষে কথা বলবে। জেতার জন্য ৩৬০ (মূলত ৩৫৭ রান) করতে হবে, দেখা যাক কি হয়।’