২৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা থামে ২৯৩ রানে। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিল সালমান আলী আঘার পারফরম্যান্স। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি, হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
তালাতও রাখেন বড় ভূমিকা। ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৩ বলে করেন ৬২ রান। ৩০ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল মাত্র ১১৯, কিন্তু শেষ ২০ ওভারে যোগ হয় আরও ১৮০ রান, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
রান তাড়ায় ভালো শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। পাওয়ার প্লে'তে বিনা উইকেটে তোলে ৭৫ রান। ভাগ্যও ছিল পাশে! ছয় রানে নিশাঙ্কার ক্যাচ ফেলেছিলেন সালমান। এক সময় বিনা উইকেটে ৮৫ রানে থাকা দল মুহূর্তেই হয়ে যায় তিন উইকেটে ৯০ রানে। হারিস রউফ পরপর দুই বলে নেন কামিল মিশারা ও কুশল মেন্ডিসের উইকেট, এরপর ফেরান নিশাঙ্কাকেও।
সেখান থেকে সাদিরা সামারাউইক্রমার ও চারিথ আসালাঙ্কা দলকে এগিয়ে নেন ৫৭ রানের জুটিতে। কিন্তু বাবর আজমের চমৎকার ক্যাচে সামারাউইক্রমার বিদায়েই আবার ধাক্কা খায় লঙ্কানরা। পরে দ্রুত আউট হন আসালাঙ্কা ও জেনিথ লিয়ানাগেও।
সাত উইকেটে ২১০ রানে প্রায় ছিটকে যায় দল। এরপর লোয়ার অর্ডারে দুশমন্থ চামিরা ও মাহিশ থিকশানার সঙ্গে জুটি গড়ে চেষ্টা চালান হাসারাঙ্গা। করেন ৫২ বলে ৫৯ রান, যা দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান। শেষ দিকে কিছুটা আশা জাগালেও নাসিম শাহর ফুল টসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ২১ রান। বল হাতে আসেন তালাত, ইনিংসে প্রথমবার বোলিংয়ে। প্রথম তিন বলে দেন চার রান, পরের দুই বলে থিকশানা মারেন দুটি চার। তবে শেষ দুই বলে আর কিছু করতে পারেননি। পাকিস্তান জেতে স্বল্প ব্যবধানে।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে ৬১ রানে চার উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল হারিস। শ্রীলঙ্কার হয়ে হাসারাঙ্গা নেন তিন উইকেট। আগামী বৃহস্পতিবার একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে।