ওয়ানডে দলে তার বদলি হিসেবে অন্য কাউকে নেয়নি পাকিস্তান। তবে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন ফখর জামান। হাসানের বাদ পড়াটাই সবচেয়ে বড় খবর। তার উত্থান ছিল রূপকথার মতো। গত মার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে তৃতীয় টি–টোয়েন্টি খেলতে নেমেই শতরান করে ম্যাচ জিতিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন।
শুরুটা দারুণ হলেও পরের ম্যাচগুলোয় ছন্দ হারিয়ে ফেলেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। প্রথম দশ ইনিংসে পাঁচবার শূন্য রানে আউট হন। তবুও তার ওপর ভরসা রেখে একের পর এক সুযোগ সুযোগ দিয়ে গিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সেই সুযোগের প্রতিদান দিতে পারেননি হাসান।
অবশ্য সর্বশেষ পিএসএলে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হাসান। ১৬২ স্ট্রাইক রেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। তবে জাতীয় দলের হয়ে ফিরেই আবারও ব্যর্থ হন তিনি। এশিয়া কাপের শেষ পর্যায়ে তাকে বাদ দিয়ে জায়গা দেয়া হয় হুসেইন তালাতকে।
পাকিস্তান ১১ নভেম্বর থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। এরপর ১৭ নভেম্বর থেকে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে শুরু হবে ত্রিদেশীয় টি–টোয়েন্টি সিরিজ। পাকিস্তানের মাটিতে এবারই প্রথম কোনো ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের ওয়ানডে দল-
শাহীন শাহ আফ্রিদি (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফয়সাল আকরাম, ফখর জামান, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও সালমান আলী আঘা।
ত্রিদেশীয় সিরিজের পাকিস্তান দল-
সালমান আলী আঘা (অধিনায়ক), আব্দুল সামাদ, আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মদ সালমান মির্জা, নাসিম শাহ, শাহিবজাদা ফারহান (উইকেটকিপার), সাইম আইয়ুব, শাহীন শাহ আফ্রিদি, উসমান খান (উইকেটকিপার) ও উসমান তারিক।