ত্রিপুরার হয়ে ৪২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ২৪টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন রাজেশ। ব্যাট হাতে ছিলেন দলের ভরসা, পরে নেতৃত্বও দিয়েছেন রাজ্য দলকে। ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে ত্রিপুরার অনূর্ধ্ব-১৬ দলের নির্বাচক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বড় রেকর্ড না থাকলেও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ছিলেন ভারতের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলেছেন আম্বাতি রাইডু ও ইরফান পাঠানদের সঙ্গে। ২০০০ সালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছেন দেশকে এবং ইংল্যান্ড সফরেও ছিলেন দলের অংশ।
জাতীয় পর্যায়ে পরে সুযোগ পেলেও নিজেকে আর সে পর্যায়ে মেলে ধরতে পারেননি রাজেশ। তবুও রাজ্য ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ছিলেন ধারাবাহিক। ত্রিপুরার ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন অন্যতম নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার হিসেবে।
খেলা ছাড়ার পরও রাজেশের সঙ্গে ত্রিপুরার ক্রিকেটের সম্পর্ক অটুট ছিল। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নির্বাচক হিসেবে নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অনেক তরুণ ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার শুরু হয় তার হাত ধরেই।
রাজেশের মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে ত্রিপুরার ক্রিকেট অঙ্গনে। আগরতলায় বাংলার বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে কালো ফিতা পরে মাঠে নেমেছে ত্রিপুরা দল। শনিবার ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তরে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ আয়োজন করে রাজ্য ক্রিকেট বোর্ড।