হারারেতে ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দুঃস্বপ্নের মতো শুরু হয় জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন তাডিওয়ানাশে মারুমানি। পরের বলে গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হয়েছেন ব্রেন্ডন টেলর। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও সেটা করতে পারেননি মুজিব। তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট নিয়েছেন ওমরজাইও। ডানহাতি পেসারের তৃতীয় বলেই ফেরেন সিকান্দার রাজা।
৪ বলে ১ রান করে শহিদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। রানের খাতা খোলার আগেই রায়ান বার্লকে ড্রেসিং রুমের পথ ধরিয়েছেন ওমরজাই। পাওয়ার প্লে শেষের আগে ব্রায়ান বেনেটকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। ওমরজাই এবং মুজিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
পরবর্তীতে সময়ে ছোট ছোট জুটি করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন টিনোটেন্ডা মাপোসা, ব্র্যাড ইভান্স, টনি মানিয়োঙ্গারা। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ বলে ৩২ রান করেছেন মাপোসা। এ ছাড়া ইভান্স ও বেনেটের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ রান করে। মানিয়োঙ্গা করেছেন ২০ রান। লোয়ার অর্ডারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ১২৭ রান তুলে অল আউট হয় জিম্বাবুয়ে। ওমরজাই ও মুজিবের বাইরে দুইটি উইকেট নিয়েছেন আব্দুল্লাহ আহমদজাই।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৬ রান। ইনিংসের অষ্টম ওভারে গুরবাজের বিদায়ে ভাঙে জুটি। ৬ চার ও এক ছক্কায় ২৫ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন ডানহাতি এই ওপেনার। তিনে নামা সেদিকউল্লাহ খেলেছেন ২২ বলে ২৫ রানের ইনিংস।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পান ইব্রাহিম। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর ৫২ রানে ফিরতে হয় তাকে। পরবর্তীতে ওমরজাই ২৭ ও শহিদুল্লাহ ১৩ বলে ২২ রান করে আফগানিস্তানকে ১৮০ রানের পুঁজি এনে দেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে তিনটি উইকেট পেয়েছেন স্পিনার রাজা। এ ছাড়া ব্লেসিং মুজারাবানি দুইটি ও ইভান্স একটি উইকেট নিয়েছেন।