১০২ রান খরচায় ৭ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ৩৩৩ রানে আটকে দেয়ার কাজটা একাই করেন মহারাজ। যদিও প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। রায়ান রিকেলটনের সঙ্গে দ্রুতই ফিরে যান এইডেন মার্করামও। তবে টনি ডি জর্জি ও ট্রিস্টিয়ান স্টাবসের শত রানের জুটির সঙ্গে দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফেরে সফরকারীরা। দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেট ১৮৫ রান তুলেছে সাউথ আফ্রিকা। এখনো পাকিস্তানের চেয়ে ১৪৮ রানে পিছিয়ে তারা।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে নবম ওভারেই রিকেলটনকে হারায় সাউথ আফ্রিকা। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ওপেনার। স্টাবসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মার্করাম। সাজিদ খানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে লং অফের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় সাকিলের হাতে ক্যাচ দেন।
প্রোটিয়া অধিনায়ক আউট হয়েছেন ৬২ বলে ৩২ রান করে। দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন স্টাবস ও ডি জর্জি। তাদের দুজনের ব্যাটেই বিপদ সামাল দেয় সাউথ আফ্রিকা। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৮৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি জর্জি। একটু পর স্টাবস পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ১৪৯ বলে। তাদের দুজনের ১১৩ রানের জুটি ভাঙেন আসিফ আফ্রিদি। বাঁহাতি স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ডি জর্জি।
আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় পাকিস্তান। টেস্টে এটাই আসিফ আফ্রিদির প্রথম উইকেট। একটু পর ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকেও ফেরান তিনি। দিনের বাকিটা সময় পারেন স্টাবস ও কাইল ভেরেইনা। ৬৮ রানে অপরাজিত আছেন স্টাবস। এ ছাড়া ২৫ বলে ১০ রান করেছেন ভেরেইনা। পাকিস্তানের হয়ে আসিফ আফ্রিদি দুইটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন আফ্রিদি ও সাজিদ।
এর আগে সকালের শুরুতে ৫ উইকেটে ২৫৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন সালমান ও শাকিল। তাদের দুজনের ব্যাটে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকে পাকিস্তান। ১১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন শাকিল। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে ছিলেন সালমানও। যদিও তাকে সেটা করতে দেননি মহারাজ। দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর হয়েছেন ৪৫ রান করা সালমান। একটু পর আউট হয়েছেন ৬৬ রান করা শাকিলও। পরের তিনটি উইকেটই দ্রুতই নিয়েছেন মহারাজ। শেষ পর্যন্ত ৩৩৩ রানে অল আউট হয়েছে স্বাগতিকরা। মহারাজ একাই নেন ৭ উইকেট।