এদিন প্রোটিয়ারা একের পর এক ক্যাচ মিস করেছে। এটাই মূলত পিছিয়ে দিয়েছে তাদের। রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে খুব বেশি টার্ন না থাকলেও বল নিচু হয়ে আসছে। যে কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। বোঝাই যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোলাররা আরও বেশি সুবিধা পাবেন উইকেট থেকে। সাউথ আফ্রিকার পেসাররা এরই মধ্যে রিভার্স সুইং পাওয়া শুরু করেছেন। যদিও সেই চ্যালেঞ্জ বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে পাকিস্তানের টপ ও মিডল অর্ডার।
এদিন সাউথ আফ্রিকা চারটি সহজ ক্যাচ ফেলেছে—এর মধ্যে আব্দুল্লাহ শফিকেরই তিনটি। এই পাকিস্তানি ব্যাটার ০, ১৫ ও ৪১ রানে জীবন পেয়েছেন। আর ৭১ রানে জীবন পেয়েছেন শান মাসুদও। দুজনই জীবন পেয়ে ইনিংস বড় করেছেন। শফিক ৫৭ ও মাসুদ ৮৭ রান করে আউট হয়েছেন। প্রথম দিনে পাকিস্তানের এগিয়ে থাকার নেপথ্যে দ্বিতীয় উইকেটে শফিক ও মাসুদের ১১১ রানের জুটি। দিনের শুরুতেই সাউথ আফ্রিকা দারুণ সুযোগ পেয়েছিল।
কাগিসো রাবাদা প্রথম ওভারেই শফিকের ব্যাটে কানায় স্পর্শ করান, কিন্তু থার্ড স্লিপে দাঁড়ানো ট্রিস্টান স্টাবস ক্যাচ নিতে পারেননি। শফিক পরের বলেই পয়েন্টের ফাঁক দিয়ে ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান। রাবাদার বলে ব্যাটের কানায় লেগে দুইবার ক্যাচ উঠে স্লিপ কর্ডনে। বাঁহাতি পেসার মার্কো জানসেন নতুন বলে শফিকের ইনসাইড এজ করে স্টাম্পে বল লাগান। তবে স্টাম্পের বেইল পড়েনি। এরপর শফিককে আউট করেন কেশভ মহারাজ। তিনি রিটার্ন ক্যাচে বিদায় করেছেন এই পাকিস্তানি ব্যাটারকে।
ইমাম উল হককে বোল্ড করেন সাইমন হার্মার। তিন নম্বরে নেমে মাসুদ আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেন। হার্মারের পরপর দুই ওভারের শুরুতে ছক্কা হাঁকান তিনি। সেনুরান মুথুসামির ওপরও চড়াও হন তিনি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৯৫। বিরতির পর শফিক ১২০ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। খানিক বাদেই তিনি হার্মারের বলে আউট সাইড এজ হয়ে কিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। বাবর আজম এদিন বেশিদূর এগোতে পারেননি।
পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন মহারাজ। এই স্পিনারের বলে টনি ডি জর্জি এক হাতে দারুণ ক্যাচ নিয়ে আউট করেন বাবরকে। খানিক বাদে মাসুদ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থেকে মহারাজের বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজ হয়ে ক্যাচ তুলে দেন মার্কো জানসেনের হাতে। শেষ বিকেলে উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এলবিডব্লিউ করে আউট করেন রাবাদা। এরপর পাকিস্তানের আর কোনো বিপদ হতে দেননি শাকিল ও সালমান।