এই বিজ্ঞপ্তি হাতে এসেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর হাতে। তারা জানিয়েছে সেখানে লিখা আছে, 'পিসিবি চেয়ারম্যানের অনুমোদনে জানানো যাচ্ছে যে খেলোয়াড়দের লিগ ও দেশের বাইরে অন্যান্য টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য সব অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হলো।'
এই পদক্ষেপের কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি পিসিবি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পিসিবি খেলোয়াড়দের এনওসি একটি পারফরম্যান্সভিত্তিক কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছে। কীভাবে এ মূল্যায়ন হবে, সেই মানদণ্ড এখনো প্রকাশ করা হয়নি। মূলত ক্রিকেটারদের জাতীয় ও ঘরোয়া পারফরম্যান্সকে অনুপ্রাণিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর ফলে আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও বিগ ব্যাশে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ডিসেম্বরে বিপিএল আয়োজন হতে পারে। ড্রাফটের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিপিএলে বরাবরই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। এবার হয়তো সেটা দেখা যাচ্ছে না।
আর ৭জন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বিগব্যাশে খেলার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহীন আফ্রিদি রয়েছেন। বিগব্যাশও হবে আগামী ডিসেম্বরে। পাশাপাশি ১৮ জন পাকিস্তানি খেলোয়াড় সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য আইএল টি-টোয়েন্টি নিলামের প্রাথমিক তালিকায় আছেন।
তাদের মধ্যে নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানও রয়েছেন। ক্রিকেটারদের নিয়ে পাকিস্তানের এমন সিদ্ধান্ত এলো এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হারের ঠিক দুইদিনের মাথায়। পাকিস্তানের প্রধান ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট কায়েদ-ই-আজম ট্রফি—অক্টোবরে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যা মূলত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে গেছে। এই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের খেলা নিশ্চিত করতেই হয়তো পিসিবি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।