ওরা ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেছে: সূর্যকুমার

আন্তর্জাতিক
ওরা ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেছে: সূর্যকুমার
ট্রফি ছাড়াই ভারতের উল্লাস, ফাইল ফটো
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
এবারের এশিয়া কাপ জিতেও হাতে ট্রফি পায়নি ভারত। পাকিস্তানকে হারানোর পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে যায় সূর্যকুমার যাদবের দল। কিন্তু তারা এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বিতর্ক তৈরি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা মাঠে অপেক্ষার পরও প্রাপ্য শিরোপা দেয়া হয়নি দলকে।

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারানোর পর ভারতীয় দলের অবস্থান ছিল স্পষ্ট। তারা কোনো পাকিস্তানির হাত থেকে ট্রফি নেবে না। ভারতীয় দলের সিদ্ধান্তের পর নাকভিও অনড় থাকেন। তার চাওয়া তিনিই ট্রফি দেবেন, নয়তো সেটা দেয়াই হবে না।

এ ঘটনা নিয়ে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে সূর্যকুমার বলেন, 'আমরা তো ড্রেসিংরুমের দরজা বন্ধ করে বসে ছিলাম না। কাউকে অপেক্ষায়ও রাখিনি। ওরাই ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি সেটিই দেখেছি। আমি জানি না, কিছু লোক আমাদের ভিডিও করছিল। আমরা তখন দাঁড়িয়েই ছিলাম। ভেতরে যাইনি।'

ঘটনার পর গুঞ্জন ওঠে, বিসিসিআই বা ভারত সরকার দলের ওপর কোনো নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সূর্যকুমার তা নাকচ করে দেন। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, সিদ্ধান্তটা ছিল মাঠেই খেলোয়াড়দের, 'পুরো টুর্নামেন্টে সরকার বা বোর্ড—কেউ আমাদের বলেনি ট্রফি কেউ দিলে নেব না। সিদ্ধান্তটা মাঠেই আমাদের। তারা (এসিসি কর্মকর্তারা) মঞ্চে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। এর মধ্যে গ্যালারি থেকে দুয়ো আসছিল। পরে দেখি একজন প্রতিনিধি ট্রফি নিয়ে চলে গেল।'

সূর্যকুমার নিশ্চিত করেন ম্যাচ শেষে কেউই ড্রেসিংরুমে যাননি, ফোনগুলো মাঠে এনে দেন সাপোর্ট স্টাফ ও ম্যাসাজম্যান, 'পুরো দল তখন মাঠেই ছিল। অভিষেক শর্মা, কুলদীপ, শিভম দুবে, তিলক—যারা পুরস্কার জিতেছে, সবাইকে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলাম। এটাই আমাদের দলের সংস্কৃতি।'

ট্রফি বিতরণ না হওয়ায় উপস্থাপক সাইমন ডুল তখন জানান এসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ভারত ট্রফি নেবে না এবং সেখানেই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষ করা হয়। এর আগেও ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে করমর্দন এড়িয়ে গিয়েছিলেন সূর্যকুমার ও তার সতীর্থরা।

টুর্নামেন্ট চলাকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও স্পষ্টভাবে প্রভাব ফেলেছে। পাকিস্তানের হারিস রউফ এক ম্যাচে বিমান ভূপাতিতের অঙ্গভঙ্গি করেন, যার জবাবে সূর্যকুমারও রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন। পরে আইসিসি দুজনকে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করে। ফাইনালে ট্রফি বিতরণ না হওয়া সেই উত্তেজনার যেন চূড়ান্ত রূপ।

আরো পড়ুন: সূর্যকুমার যাদব