বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় হংকং। এরপর আর তারা ম্যাচে ফিরতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৪৩ বলে ৩৯ রান করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার বাবর হায়াত। এ ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন কেবল ইয়াসিম মুর্তজা। হংকংয়ের এই অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ১৬ রান। আর কেউই ৬ রানের বেশি করতে পারেননি।
আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ ও নূর আহমেদ। আর তাতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে হংকংয়ের ব্যাটিং অর্ডার।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি ওপেনাররা। তাদের জুটি ভাঙে দলীয় ২৫ রানে। ৮ রান করে ফিরে যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এরপর মাত্র ১ রান করে আউট হয়েছেন আরেক ব্যাটার ইব্রাহীম জাদরান। তৃতীয় উইকেটে সেদিকউল্লাহ ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবি মিলে আফগানদের হাল ধরেন।
দুজনে ৪১ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন। নবি ২৬ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন। এরপর গুলবাদিন নাইব দ্রুতই আউট হয়েছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ৫ রান। পঞ্চম উইকেটে সেদিকউল্লাহকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। জুটি গড়ার পথে ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওমরজাই।
তিনি ২১ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। করিম জানাত শেষ দিকে ৩ বলে ২ রান করে ফিরে গেলেও ১ বলে ৩ রান করে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করে আসেন রশিদ খান। সেদিকউল্লাহ খেলেন ৫২ বলে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৩টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার। এমন ইনিংসে সেদিকউল্লাহর চেয়ে হংকংয়ের ফিল্ডারদেরই কৃতিত্ব বেশি।
তারা আফগান ওপেনারকে একাধিকবার জীবন দিয়েছেন। সেই সুযোগ হেলায় হারাতে দেননি সেদিকউল্লাহ। আর তাতেই খেলেছেন ম্যাচ জয়ী ইনিংস। হংকংয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আয়ুস শুক্লা ও কিঞ্চিত শাহ। একটি করে উইকেট পান আতিক ইকবাল ও ইশান খান।