বাংলাদেশকে সমীহ করলেও হারানোর আত্মবিশ্বাস আছে হংকংয়ের

ছবি: হংকং দল, ফাইল ফটো

ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি হওয়ার কারণেই মূলত নিজেদের সামর্থ্যে ভরসা রাখছে হংকং। দলের অল্প কয়েকজন ক্রিকেটার ভালো খেললেই বাংলাদেশকে হারানো সম্ভব বলে মনে করছেন দলটির অলরাউন্ডার নিজাকাত খান।
তিন বিভাগে ভালো খেলে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় হংকং
২ ঘন্টা আগে
নিজাকাত বলেন, 'আমাদের সেই বিশ্বাস আছে। আমাদের দলে এমন প্লেয়ার আছে যারা একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো খেলবে, সেই জিতবে। এটা ২-৩ ওভারের খেলা। কেউ খুব ভালো ব্যাট করলে বা কেউ খুব ভালো বল করলে খেলার মোড় ঘুরে যায়। টি-টোয়েন্টি একটা মজার খেলা। বলা যায় না কখন কি হয়। আমাদের দল প্রস্তুত। আমরা বাংলাদেশের সাথে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।'
'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো আতঙ্ক নেই। আপনি যদি নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলেন, তাহলে আপনিই জিতবেন। আপনি শক্তিশালী বা দুর্বল দলের সাথে খেলছেন, সেটা ম্যাটার করে না। অতীতেও এমন হয়েছে। আমরাও এমন করেছি। বলা যায় না। আমরা আমাদের সেরাটাই খেলবো। প্রথম বল থেকেই। আমরা খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।'

বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না বলেই বিশ্বাস নিজাকাতের। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলার কারণে তাদের বাড়তিভাবে সমীহ করছেন এই লেগ স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার।
তিনি আরো বলেন, 'ওদের খুব ভালো খেলোয়াড় আছে। এবং ওরা খুব অভিজ্ঞ। ওরা অনেক টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলেছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো আতঙ্ক নেই। আপনি যদি নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলেন, তাহলে আপনিই জিতবেন। আপনি শক্তিশালী বা দুর্বল দলের সাথে খেলছেন, সেটা ম্যাটার করে না। অতীতেও এমন হয়েছে। আমরাও এমন করেছি। বলা যায় না। আমরা আমাদের সেরাটাই খেলবো। প্রথম বল থেকেই। আমরা খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।'
বাংলাদেশের সাথে অতীত ইতিহাস বেশ সুখকর হংকংয়ের। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল হংকং। সেই ম্যাচে বল হাতে তিন উইকেট নেন নিজাকাত। বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে ১০৮ রান করে। হংকং সেটা টপকে যায় আরো দুই বল হাতে রেখেই।
এই ম্যাচ স্মরণ করে নিজাকাত বলেন, 'ওটা খুব স্পেশাল একটা ম্যাচ ছিল। বাংলাদেশকে বাংলাদেশে হারানো বেশ কঠিন। আমার ঐ ম্যাচটার কথা খুব ভালো করে মনে আছে। আমরা আসলেই ভালো খেলেছিলাম। একটা পর্যায়ে ওরা খুব ভালো খেলছিল। কিন্তু আমরা আমাদের স্পিন দিয়ে ম্যাচে ফিরে আসি। এরপর ব্যাটিং দিয়ে আমরা ম্যাচটা জিতে যাই। এটা আমাদের জন্য খুব স্মরণীয় একটা জয় ছিল।'
'আমি তখন খুব ভালো বল করেছিলাম। নাদিম আহমেদের সাথে আমার একটা বোলিং জুটিও হয়েছিলো। আর এরপরেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ ধ্বসে পড়ে। এরপর আমরা ঘুরে দাঁড়াই।'