৪০ বছর পর্যন্ত টেস্ট-ওয়ানডে খেলতে চান মহারাজ

ছবি: ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চোট পাওয়া জিম্বাবুয়ে সফরে ছিলেন না টেম্বা বাভুমা। নিয়মিত অধিনায়ক না থাকায় দুই টেস্টের জিম্বাবুয়ে সফরে অধিনায়ক ছিলেন মহারাজ। যদিও প্রথম টেস্টের পরই দেশে ফেরেন তিনি। এমনকি জিম্বাবুয়ে ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াডেও ছিলেন না বাঁহাতি এই স্পিনার। সাউথ আফ্রিকার জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে ভবিষ্যতে ব্রাত্য হতে পারেন তিনি।
প্রোটিয়াদের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন মহারাজ-মিলার
২৩ আগস্ট ২৫
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেক হয় মহারাজের। টেস্টের পর ২০১৭ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটেও অভিষেক হয় তাঁর। অথচ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় ২০২১ সালে। এখন পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার হয়ে ৩৯ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে মহারাজ না থাকায় স্পিনার হিসেবে খেলেছেন জর্জ লিন্ডে, সেনুরান মুথুসামি ও একাবা পিটার। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বিবেচনা করা হতে পারে তাদের।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। উপমহাদেশের কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখেই তিন স্পিনার নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে সাউথ আফ্রিকা। ধারণা করা হচ্ছে, লিন্ডে, মুথুসামি কিংবা পিটারের মতো স্পিনার থাকায় প্রোটিয়াদের টি-টোয়েন্টির ভাবনায় নেই মহারাজও। বাঁহাতি স্পিনারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি দুই ফরম্যাটেই খেলছেন।
‘অনার্স বোর্ডে’ নাম লেখাতে না পেরে ব্রিটজকের আক্ষেপ
১০ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে মহারাজ বলেন, ‘দেখুন—আমি এখন শুধু দুইটা ফরম্যাটে খেলছি। সবসময় বলে এসেছি আমি ৪০ বছর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চাই। কিন্তু এটা নির্ভর করবে আমার শরীর কী বলছে এবং সকালে ওঠার পর আমি কেমন অনুভব করছি। যদি কখনো আমি বোলিং করার প্যাশন হারিয়ে ফেলি তাহলে খেলার প্রতি সম্মান জানিয়েই আমি সরে যাব।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কিন্তু দলের দৃষ্টিকোণ থেকে সাফল্যের স্বাদ পেলে আশা করি অনেক দরজা খুলে যাবে। কিন্তু আমার মনে হয় এটা দারুণ একটা সুযোগ যে পেছনে ফিরে দেখা যাবে আমরা ভালো করেছি। সেই সাথে আমরা কীভাবে উন্নতি করতে পারি তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।’