‘নতুন’ পাকিস্তানকে ১০-১৫ ম্যাচ সুযোগ দিতে বলছেন হারিস

ছবি: অনুশীলনে পাকিস্তান দল, ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বদলের সংস্কৃতি পাকিস্তানের বেশ পুরোনো। কোনো একটি আইসিসির ইভেন্টে ব্যর্থ হলে দলটির অধিনায়ক তো বটেই, মাঝেমধ্যে কোচ, টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যও পরিবর্তিত হয়ে যায়।
মঈন আলীর চোখে আফ্রিদি-নাসিমরা সেরা বোলার নন
১৬ মার্চ ২৫
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একেইবারেই লড়াই করতে পারেনি স্বাগতিকরা। নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে মাঠেই নামতে পারেনি পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে নেতৃত্বেও আনা হয় বদল।
মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বাদ দিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে পাঠানো হয় সালমানকে। এরপর কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে অলআউট হয়ে ৯ উইকেটে হারে দলটি। দ্বিতীয়টিতে বৃষ্টির কারণে ১৫ ওভারে নেমে যাওয়া ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান করে পাঁচ উইকেটে হারে।

সালমানদের সুযোগ দেয়ার কথা উল্লেখ করে পেসার হারিস বলেন, ‘আমরা সমালোচনা করে থাকি। এটা পাকিস্তানে খুবই সাধারণ একটা বিষয়। কিন্তু বুঝতে হবে যে এরা সবাই তরুণ ক্রিকেটার। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় যেকোনো দলই তাদের তরুণ ক্রিকেটারদের স্বাধীনতা দেয়। যদি তরুণ ক্রিকেটারদের তারা সুযোগ দেয়, তাহলে তারা টানা ১০-১৫টা ম্যাচে খেলায়। এভাবেই ক্রিকেটাররা তৈরি হয়।’
অধিনায়কত্ব পেয়ে বাংলাদেশের অপেক্ষায় সালমান
৪ মার্চ ২৫
পাকিস্তান যখনই হারে, তখনই বিদ্রুপ করতে দেখা যায় দেশটির সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম, ইনজামাম উল হক, ওয়াকার ইউনিসদের। শোয়েব আখতার, রশিদ লতিফদের থেকে শুরু করে বাসিত আলীর মতো ক্রিকেটাররাও করেন সমালোচনা।
তাদের পরোক্ষ সমালোচনা করে হারিস আরও বলেন, ‘প্রথম প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এলে সবাই শুরুর দিকে একটু বিপাকে পড়ে। অনেকেই আছে যারা শুধু পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হারের অপেক্ষা করে। তারা তাদের মতামত দিতে পারে, কিন্তু তাদেরও বুঝতে হবে আমরাও একটা দল তৈরি করছি। সিনিয়ররা যেমন দলে রয়েছে, তেমন তরুণ যুব ক্রিকেটারদেরও আনার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাতে তাঁরা সফল হয় আমরা তাদের মোটিভেট করছি, যাতে তারা দ্রুত শিখতে পারে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।’