অবসরের পর কোচিংয়ে চোখ করুনারত্নের

ছবি: কোচিংয়ে চোখ রাখছেন দিমুথ করুনারত্নে, ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারছিলেন না করুনারত্নে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজেও জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। প্রথম টেস্টে ৭ ও ০ রান করেছিলেন। নিজের খেলা শেষ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৩৬ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪ রান করেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে পুরো ক্যারিয়ারে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন তিনি। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গলে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল করুনারত্নের।
করুনারত্নের বিদায়ী টেস্টের প্রথম দিনে বিবর্ণ শ্রীলঙ্কা
৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
এক যুগের বেশি সময়ের টেস্ট ক্যারিয়ারে লঙ্কানদের হয়ে একশ ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে ১৬ সেঞ্চুরিতে ৭ হাজার ২২২ রান করেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। ক্যারিয়ার সেরা ২৪৪ রান করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০২১ সালে। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩০ টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাটিতে পাওয়া জয় অন্যতম। অবসর নিলেও সবসময় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে সমর্থন করে যাবেন বলে জানান সাবেক এই অধিনায়ক।
গলে ম্যাচ শেষে নিজের বিদায়ী বার্তায় করুনারত্নে বলেন, ‘আমার পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে এটা লম্বা একটা ক্যারিয়ার। আমি খানিকটা আবেগতাড়িত কারণ আমি তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমি যেখানেই যাই না কেন আমি তাদের সঙ্গেই থাকব এবং পুরোদমে সমর্থন করব।’

শ্রীলঙ্কার সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে একশ টেস্ট খেলার কীর্তি গড়েছেন করুনারত্নে। বাঁহাতি ওপেনারের আগে লঙ্কানদের জার্সিতে এমন কীর্তি আছে সানাথ জয়াসুরিয়া, মাহেলা জয়াবর্ধনে, মুত্তিয়া মুরালিধরণ, চামিন্দা ভাস, কুমার সাঙ্গাকারা এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের। করুনাত্নে জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই একশ টেস্ট খেলা এবং ১০ হাজার রানের স্বপ্ন দেখতেন।
২৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫
করুনারত্নে বলেন, ‘আপনি যখন ১০০ টেস্ট খেলবেন তখন এটা সহজ ব্যাপার নয়। আমি যখন টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম তখন আমার স্বপ্ন ছিল ১০০ টেস্ট খেলা এবং ১০ হাজার রান করা। সৌভাগ্যক্রমে, আমি ক্রিকেটে এসেছিলাম এবং লম্বা সময় খেলেছি। আমি খুশি, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট, আমার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারকে ধন্যবাদ।’
বর্তমান অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে স্থায়ী হয়েছেন করুনারত্নে। আপাতত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে পরবর্তীতে কোচিংয়ের খুঁটিনাটি শেখার কথা জানিয়েছেন তিনি। কোচিংয়ে যোগ দেয়া নিয়ে সাবেক বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘আমি কোচিং করাতে চাই। আমি অস্ট্রেলিয়াতে যাব এবং কোচিংয়ের খুঁটিনাটি শিখব। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই এবং তারপর কোচিং শুরু করব।’