হেড নয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওপেনিংয়ে কনস্টাস
ছবি: শ্রীলঙ্কা সফরে স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে সুযোগ মিলছে না স্যাম কনস্টাস
ডেভিড ওয়ার্নার অবসর নেয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেন করেছিলেন স্মিথ। তবে প্রত্যাশিতভাবে পারফর্ম করতে না পারায় বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে চারে খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে খাওয়াজার সঙ্গে ওপেনিংয়ে খেলেছিলেন নাথান ম্যাকসুয়েনি। অ্যাডিলেডে ৩৯ রানের ইনিংস খেলা ছাড়া বলার মতো কিছুই করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার।
এক সিরিজেই ৯৯ থেকে দুইয়ে অভিষেক
২৭ মিনিট আগেবাকি পাঁচ ইনিংসেই ১০ রানের মাঝে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন ম্যাকসুয়েনি। যেখানে চারবারই আউট হয়েছেন বুমরাহর বলে। টানা তিন টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ দুই টেস্টের জন্য ডেকে নেয়া হয়েছিল কনস্টাসকে। মেলবোর্নে ৬০, ৮ এবং সিডনিতে ২৩ এবং ২২ রান করেছিলেন তরুণ এই ওপেনার। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনিংয়ে বিবেচনা করা হয়নি তাকে।
প্রথম টেস্টে উসমান খাওয়াজার সঙ্গে ওপেনিং করেছেন হেড। ধারণা করা হচ্ছে, গলে দ্বিতীয় টেস্টেও তারা দুজনই ওপেন করবেন। শ্রীলঙ্কায় হেড ওপেনিং করলেও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি মিডল অর্ডারে ফিরবেন। বাঁহাতি এই ব্যাটার নিশ্চিত করেছেন, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ফাইনালে খাওয়াজার সঙ্গে ওপেনিয়ে দেখা যাবে কনস্টাসকে।
শ্রীলঙ্কা সফরে ওপেনিংয়ে হেড
২৮ জানুয়ারি ২৫এ প্রসঙ্গে হেড বলেন, ‘খুব সম্ভবত আমি মিডল অর্ডারে ফিরে যাব এবং স্যাম ওপেন করবেন। কিন্তু আমি খুবই আনন্দিত আমি নির্বাচক নই। জশের (ইংলিশ) শুরুটা দারুণ হয়েছে। ছেলেরা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলছে। গ্রিনিও (ক্যামেরন গ্রিন) ফিট হয়ে যাবে। সবাইকে এক সাথে খেলানো কঠিন হয়ে যাবে। আমরা এমনই চাই। আমরা এমন একটা অস্ট্রেলিয়ান দল চাই যেখানে জায়গা পাওয়া কঠিন।’
২০২৪ সালে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন হেড। তিন সংস্করণে সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪২৭ রান করেছিলেন। যেখানে ৯ টেস্টে ৪০.৫৩ গড় এবং দুই সেঞ্চুরিতে ৬০৮ রান করেছিলেন। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ৫৩৯ এবং ওয়ানডে ২৫২ রান করেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এমন পারফরম্যান্সে জশ হ্যাজেলউড এবং প্যাট কামিন্সকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা পুরস্কার অ্যালান বোর্ডার জিতেছেন হেড।