promotional_ad

‘মনে হচ্ছিল শুধু ক্যাচ অনুশীলন করানোর কাজ করছিলাম’

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ইংল্যান্ড সিরিজে আজহার মেহমুদের সঙ্গে জেসন গিলেস্পি, এএফপি
জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর চলতি বছরের আগষ্টে তাঁর সহকারী হিসেবে টিম নিয়েলসেনকে এনেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। গিলেস্পির সহকারী হলেও নিয়েলসেনের পদের নাম ছিল হাই পারফরম্যান্সে লাল বলের কোচ। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া সফরের পর তা নবায়নের কথা ছিল। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পিসিবির পক্ষ থেকে নিয়েলসেনকে জানানো হয় তাকে আর তাদের প্রয়োজন নেই।

promotional_ad

দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানতেন না গিলেস্পি। পিসিবির এমন আচমকা সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসারের। তখন থেকেই গুঞ্জন ছিল সহকারীর চাকরি না থাকায় পাকিস্তানের টেস্ট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়তে পারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেই গুঞ্জনই সত্যি হয়েছে। সাউথ আফ্রিকা সফরের আগে টেস্ট দলের সঙ্গে যোগ না দিয়ে চাকরি ছেড়েছেন। 


গিলেস্পি কেন চাকরি ছেড়েছেন সেটা অনুমান করা গেলেও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য ছিল না কারও কাছেই। অস্ট্রেলিয়াতে পৌঁছেই পাকিস্তানের টেস্ট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ার কারণ জানিয়েছেন তিনি। ব্রিসবেন টেস্টে সময় সম্প্রচারক প্রতিষ্ঠান এবিসি স্পোর্টের সঙ্গে কথা বলেছেন গিলেস্পি। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার যোগাযোগের ঘাটতি, স্পষ্ট ধারণা কিংবা তাঁর কাজের পরিধি কমিয়ে দেয়ার বিষয়টি সামনে এনেছেন। 


এ প্রসঙ্গে গিলেস্পি বলেন, ‘নিয়েলসেনকে বলে দেওয়া হয়েছিল যে তাকে আর প্রয়োজন নেই এবং আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ কোনো যোগোযোগই করল না। সেই মুহূর্তেই আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম যে আমি নিশ্চিত নই, তারা আসলে আমাকে এ চাকরিতে রাখতে চায় কি না।’


promotional_ad

‘(নিয়েলসেনের বিষয়ে) যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং প্রধান কোচ এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে একটি টেক্সট বার্তা, ফোন কল কিংবা ই-মেলও পান না, যা একটি খুব বড় একটি সিদ্ধান্ত। এটা আমাকে ভালোভাবে ভাবতে বাধ্য করে যে আমি সত্যিই নিশ্চিত নই যে পিসিবি আমাকে চায় কিনা।’


বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন গিলেস্পি। সিরিজ হারের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও শুরুটা ভালো হয়নি তাঁর। ফলে নির্বাচক প্যানেল থেকে তাকে সরিয়ে আকিভ জাভেদ, আলিম দারদের যুক্ত করে  পিসিবি। তাঁরা এসেই স্কোয়াড ও একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন। বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও নাসি শাহর মতো ক্রিকেটারদের স্কোয়াডের বাইরে রাখে নির্বাচক প্যানেল।


একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার পর শেষ দুই টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজও জিতে নয় পাকিস্তান। তবে দলের এমন পরিবর্তনের কথা জানতেনই না প্রধান কোচ গিলেস্পি। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার এমন অভিযোগও করেছেন যে ম্যাচের দিন সকাল ছাড়া তিনি একাদশে কারা আছেন তা জানতেন। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের শুধু ক্যাচ অনুশীলন করানোই তাঁর ছিল, এমন অনুভূতিও হয়েছিল তাঁর।


গিলেস্পি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল ম্যাচের দিন সকালে আমি শুধু ক্যাচ অনুশীলন করানোর কাজ করছিলাম। নির্বাচকসহ সবার কাছ থেকে আপনি পরিষ্কার যোগাযোগ আশা করবেন এবং প্রধান কোচ হিসেবে অন্তত ম্যাচের এক দিন আগে আপনাকে দলটা জানতে হবে, যাতে আপনি খেলোয়াড়দের সাহায্য আর প্রস্তুত করতে পারেন।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: [email protected]
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball