সাইমকে ছাপিয়ে হেনড্রিকসের সেঞ্চুরিতে সাউথ আফ্রিকার জয়
ছবি: ৫৪ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে রেজা হেনড্রিকসের উদযাপন
সেঞ্চুরিয়নে ২০৭ রান তাড়া করতে নামা সাউথ আফ্রিকার শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন রায়ান রিকেলটন। জাহানদাদ খানের বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনে নেমে টিকতে পারেননি ম্যাথু ব্রিটজ। তাকেও ফিরিয়েছেন জাহানদাদ।
বাঁহাতি পেসারের মিড অনে থাকা শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ক্যাচ দিয়েছেন ১২ রান করা ব্রিটজ। ২৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হেনড্রিকস ও ডাসেন। তাদের দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকে সাউথ আফ্রিকা। যেখানে বেশিরভাগ রানই এসেছে হেনড্রিকসের ব্যাট থেকে। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে তাই ২৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি।
হাফ সেঞ্চুরিতে কুইন্টন ডি কককে ছাড়িয়ে গেছেন এই ব্যাটার । বাঁহাতি ওপেনারকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সাউথ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলার মালিক এখন হেনড্রিকস। শুধু তাই নয় নিজের ক্যারিয়ারসেরা ৮৭ রানকেও ছাড়িয়ে গেছেন। ৫৪ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরিও। তাকে সঙ্গ দেয়া ডাসেন পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৩৩ বলে। সাউথ আফ্রিকা যখন জয়ের খুব কাছে তখন সাজঘরে ফেরেন হেনড্রিকস।
আব্বাসের বলে মিড উইকেটে থেকে ইরফান খানকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৬৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলা প্রোটিয়া এই ওপেনার। হেনড্রিকসের বিদায়ে ভাঙে ডাসেনের সঙ্গে ১৫৭ রানের জুটি। টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় উইকেটে এটিই স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এরপর হেনরিখ ক্লাসেন ও ডাসেন মিলে স্বাগতিকদের ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন। ৩৮ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ডাসেন। পাকিস্তানের হয়ে জাহানদাদ দুটি আর আব্বাস নিয়েছেন একটি উইকেট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে রিজওয়ান দ্রুত ফিরলেও বাবর আজম ও সাইম মিলে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়েছেন। জর্জ লিন্ডেকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৩১ রান করা বাবর ভাঙে সাইমের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি। পরবর্তীতে ইরফান ১৬ বলে ৩০ এবং আব্বাস ৪ বলে ১১ রান করেছিলেন। তবে পাকিস্তানের ২০৬ রানের পুঁজিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকা সাইমের।