তারকাবহুল ধারাভাষ্য প্যানেল ঘোষণা করেছে তারা। এবার দুই উপস্থাপিকার নাম জানিয়েছে বিসিবি। বিপিএলের উপস্থাপিকা হিসেবে থাকছেন দুই বিদেশি। পাকিস্তানের জয়নব আব্বাস ও ভারতের রিধিপা পাঠক। নিজেদের ফেসবুক পেজে তাদের ভিডিও প্রকাশ করে এই বিষয়টি জানিয়েছে বিপিএল কতৃপক্ষ।
এদিকে বিসিবি এবার একে একে ধারাভাষ্যকারদের নাম প্রকাশ করছে। কদিন আগেই দেশি সমন্বয় ঘোষ ও পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজার ভিডিও প্রকাশ করে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে তারা। একদিন আগেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে ড্যারেন গফের নাম প্রকাশ করেছে বিসিবি। ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ধরা হয় গফকে।
বিপিএলের এবারের আসরের ধারাভাষ্যকারের তালিকায় মরিসন রয়েছেন। আইএল টি-টোয়েন্টি শেষে ৫ জানুয়ারি বিপিএলে যোগ দেবেন মরিসন। মরিসন-রমিজের পাশাপাশি প্রথমবার বিপিএলে ধারাভাষ্য দিতে আসতে যাচ্ছেন ওয়াকার ইউনুসও। এর আগে বিপিএলে কোচিং করাতে এসেছিলেন সিলেটের হয়ে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ সিরিজেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা যায় ফারভেজ মাহরুফকে।
শ্রীলঙ্কার সাবেক পেসারও থাকছে সেই প্যানেলে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার জেমি কক্স এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যামুয়েল বদ্রিকেও দেখা যাবে বিপিএলে ধারাভাষ্য দিতে। উপস্থাপকের দায়িত্ব থাকা জয়নব আব্বাসও বেশ কিছু ম্যাচে ধারাভাষ্য দিতে পারেন বলে জানা গেছে। প্রথমবারের মতো বিপিএল আয়োজন করতে যাওয়া ট্রান্স গ্রুপ বাংলাদেশের সমর্থকদের ভালো মানের খেলা ব্রডকাস্টিং দিতে আত্মবিশ্বাসী।
বিদেশি ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের মধ্যে আতহার আলী খান, শামীম আশরাফ চৌধুরি, মাজহার উদ্দিন অমি ও সমন্বয় ঘোষকেও দেখা যাবে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের একটি সূত্রের মতে, এখনো পর্যন্ত ১১ জন ধারাভাষ্যকারের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। সিলেট পর্বে সবাইকে না পাওয়া গেলেও আইএলটি-টোয়েন্টি শেষে পুরো ধারাভাষ্য প্যানেলকে পাওয়া যাবে।
সিলেটে বিপিএল শুরু হওয়ার পর সেটা চট্টগ্রাম ঘুরে শেষ পর্বে ঢাকায় ফিরবে। ৩৪ ম্যাচের বিপিএলের ১২টি আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে সিলেট। সমান ১২টি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের ভেন্যুতেও। এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালসহ মোট ১০টি ম্যাচ হবে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ২৬ ডিসেম্বর সিলেট, ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম এবং ১৬ জানুয়ারি শুরু হবে বিপিএলের ঢাকা পর্ব।
সূচি অনুযায়ী, ১৯ জানুয়ারি মিরপুরে হবে এলিমিনেটর। একই দিন সন্ধ্যায় হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। একদিন বিরতি দিয়ে ২১ জানুয়ারি হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। ফাইনাল হবে ২৩ জানুয়ারি। এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ারের পাশাপাশি ফাইনাল ম্যাচের জন্যও রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। বিপিএল শুরুর আগে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।