এদিকে দলটির কোচিং প্যানেলেও থাকছে একাধিক চমক। বিপিএলে প্রথমবারের মতো কোচিং করাতে দেখা যাবে ইমরুল কায়েসকে। তিনি দলটির ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্বস্ত একটি সূত্র। পাশাপাশি বোলিং কোচ হিসেবে আলোচনা চলছে সৈয়দ রাসেলের সঙ্গে।
বাংলাদেশের সাবেক এই পেসার ছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলিং কোচের দায়িত্বেও। ফিল্ডিং কোচ হিসেবে দেখা যেতে পেরে কেমসলে রবকে। দলটির প্রত্যেক কোচের সঙ্গেই আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত। তবে এখনও তাদের ব্যাপারে কিছু নিশ্চিত করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে।
বিপিএলের গত তিন আসরে খেলতে দেখা গেছে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। তবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি তারা। বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে লম্বা সময় ধরেই ক্রিকেটারদের কাজ করছে ক্রিকেট উইথ সামি। বিপিএলের গত আসরেই সময়ই ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জানিয়েছিলেন, তারা টুর্নামেন্টে দল নিতে চান।
গত মাসে বিসিবি যখন আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য দরপত্র আহ্বান করে তখন আবেদনপত্র জমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রাথমিক যাচাই–বাছাই, মূল্যায়নের পর অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা এবং অন্যান্য বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় সিলেটের মালিকানা পায় তারা। সিলেট টাইটান্সে হিসেবে বিপিএলে খেলতে দেখা যাবে তাদের।
আগামী ১৭ নভেম্বর বিপিএলের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে। ড্রাফটের আগেই সরাসরি চুক্তিতে দুজন ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যেখানে মিরাজের সঙ্গে আছেন স্পিনার নাসুম। দলটির অধিনায়ক হিসেবেও দেখা যেতে পারে মিরাজকে। গত আসরে খুলনার হয়ে ব্যাটিংয়ে ৩৩৫ রান করা মিরাজ বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার।
যদিও বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে সেভাবে জায়গা করতে পারছেন না মিরাজ। তবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য নাসুম। গত বিপিএলে খুলনার হয়ে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনিও। এদিকে দল গোছানোর চেষ্টা করছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সও। শাহিবজাদা ফারহানের সঙ্গে চুক্তি করার পর তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।