আধুনিক যুগের অন্যতম সফল কোচ ধরা হয় মুডিকে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি আন্তর্জাতিক ও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক দলের কোচের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অধীনেই চলতি বছর দ্য হান্ড্রেডে ওভাল ইনভিন্সিবলস টানা তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে।
এ ছাড়া তিনি আইএল টি-টোয়েন্টির দল ডেজার্ট ভাইপার্সের গ্লোবাল ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবেও কাজ করেছেন। আইএল টি-টোয়েন্টির প্রথম দুই আসরে দলটি রানার্স-আপ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সারে ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মালিক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (আরআইএল)— যারা চলতি বছর ইনভিন্সিবলসের ৪৯ শতাংশ মালিকানা কিনেছে— দুই পক্ষই মুডিকে দলে রাখার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল।
যদিও আরও বিস্তৃতভাবে কাজ করার সুযোগ আসায় মুডি লক্ষ্ণৌর প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের (আরপিএসজি) মালিকানাধীন এলএসজি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মুডির নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। ফলে কতদিনের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে মুডি যুক্ত হচ্ছেন তা নিয়েও বিস্তারিত জানা যায়নি।
২০২২ সালে সানরাইডার্স হায়দরাবাদের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন মুডি। এরপর আর আইপিএলের কোনো দলের সঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়নি তাকে। ২০১৩ থেকে তিনি ২০১৯ সাল পর্যন্ত হায়দরবাদের সঙ্গে ছিলেন। এর মধ্যে তার অধীনেই ২০১৬ আইপিএলের শিরোপা জেতে হায়দরবাদ।
এরপর ২০২১ সালে ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে হায়দরবাদে যোগ দেন মুডি। টেভর বেইলিস দায়িত্ব ছাড়ার পর ২০২২ আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন এই অস্ট্রেলিয়ান। সেই মুডি এবার জহির খানের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। এক মৌসুমে লক্ষ্ণৌয়ের সঙ্গে থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে সেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ভারতের এই সাবেক পেসার।