আইপিএলের শিরোপা জয়ী কোচের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল কলকাতা
ছবি: ডি কক, মঈন আলীদের সঙ্গে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত

কলকাতা দল তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ২০২২ সালের আগস্টে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের স্থলাভিষিক্ত হন পণ্ডিত। ২০২৩ সালে প্রথম মৌসুমে দল সপ্তম স্থানে থাকলেও, ২০২৪ সালে তার অধীনেই কলকাতা শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়। বিদায়বেলায় এই কোচের ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছে আইপিএলের সফলতম এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
আইপিএলের পর দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্ট হতে চায় এসএ টোয়েন্টি
১৮ আগস্ট ২৫
তারা লিখেছে, ‘চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত নতুন কিছু অন্বেষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই কেকেআরের প্রধান কোচ হিসেবে তাকে আর দেখা যাবে না। ২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন করানোর জন্য আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। সঙ্গে দলকে শক্তিশালী করার জন্য। তার নেতৃত্ব এবং শৃঙ্খলা দলের ওপর দারুণ প্রভাব রেখেছে। তার ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা।’

২০২২ সালে মধ্য প্রদেশকে রঞ্জি ট্রফি জেতানোর স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিলেন পণ্ডিত। এরপরই তিনি কলকাতায় যোগ দেন। কোচ হিসেবে সাফল্য পেলেও তার কোচিংয়ের ধরণে অনেক বিদাশি ক্রিকেটারই সন্তুষ্ট ছিলেন না। বিভিন্ন সময় অনেক বিদেশি ক্রিকেটার এ নিয়ে কথাও বলেছেন খোলামেলা।
২০২৩ সালে কলকাতার স্কোয়াডে থাকা নামিবিয়ার অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসে ‘হিটম্যান ফর হায়ার’ পডকাস্টে বলেছিলেন, 'পণ্ডিত ভারতে খুব মিলিটারি টাইপ কোচ হিসেবে পরিচিত। খুব কঠোর, শৃঙ্খলাবদ্ধ—এই রকম ধাঁচের। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে, বিশেষ করে যেখানে অভিজ্ঞ বিদেশি খেলোয়াড় থাকে, তারা সব সময় চায় না কেউ এসে তাদের বলে দিক কীভাবে চলতে হবে, কী পরবে বা সবসময় কীভাবে চলাফেরা করবে। এটা একটু কঠিন ছিল।'
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর জানিয়েছে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ সাফল্য থাকা পণ্ডিত আবারও মধ্যপ্রদেশ দলের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন। যদিও বিষয়টি নির্ভর করছে অনেক যদি কিন্তুর ওপর। পণ্ডিতের বিদায়ের সবচেয়ে বড় আলোচনা হবে কে হতে যাচ্ছেন দলটির নতুন কোচ।